গণরুম-গেস্টরুম প্রথার বিরুদ্ধে জাবিতে মশাল মিছিল

0

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম-গেস্টরুম প্রথার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রশাসনকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে নবনির্মিত চারটি হলের উদ্বোধন করে গণরুম সংস্কৃতি দূর করার আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত ৫১ ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম একজন শিক্ষার্থীর মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এখানে আসার আগে জানতাম জাবি একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখন আমাদের গণরুমে আশ্রয় নিতে হয়। এটা একরকম নির্যাতনের বন্দিশালা। আগামী ১ মার্চের মধ্যে আমাদের আসন সংকট দূর করার দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রফ্রন্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, উপাচার্য বলেছিলেন তিনি গণরুম-গেস্টরুম জাদুঘরে পাঠাবেন। কিন্তু আমরা দেখছি তার উল্টো, এখন গণরুম-গেস্টরুম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গণরুমের জাঁতাকলে শিক্ষার্থীরা নিষ্পেষিত। প্রশাসন সব জেনেও চুপ থাকে। কারণ প্রশাসন চায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা না করুক। আমরা আল্টিমেটাম দিতে চাই, আগামী এক মাসে গণরুম-গেস্টরুম দূর করা সম্ভব না হলে আপনাদের ক্যাম্পাসে থাকার অধিকার নাই।

জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শৌমিক বাগচি বলেন, আপনারা এতো এতো সোসাইটির বিল্ডিং নির্মাণ করেন, আর আমাদের রাখা হয় ময়লার ভাগাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলা হয় প্রথম শ্রেণির নাগরিক। তারা শুধু উন্নয়নের মুলা ঝুলিয়ে রাখে। তারা গণরুমকে জাদুঘরে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে, আমাদের উচিত তাদের জাদুঘরে পাঠানো। আমরা এ অন্যায় আর মেনে নেবো না। অবিলম্বে এই সংস্কৃতি বন্ধ করার আহ্বান জানাই।

বিডি প্রতিদিন

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More