বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জাতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। এখন তাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির ইফতারে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। তবে কারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বা কারা ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করছে, তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, জনগণকে সজাগ হতে হবে। যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, পরিবারকে ভালোবাসেন, মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করেন, তাঁদের জেগে উঠতে হবে। অন্যায়, জুলুম, অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। তবেই দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া, যাতে কোনো কারচুপি না হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কথা বলে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের গায়ে লাগছে না। জাতীয় সংসদে কোনো আলোচনা হয় না। সংসদে কোনো এজেন্ডা থাকে না। এটা গান-বাজনার আসর হয়ে গেছে। সংসদে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। সেখানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত হয় না।’ তিনি বলেন, প্রশাসনে ভালো ভালো কর্মকর্তাদের ডিঙিয়ে দলীয় লোকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার ধার ধারছে না। দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারে না, করলেই তাঁকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে। সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বলে আজ আর কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘আজ মিয়ানমারের সঙ্গেই আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পারে না। অথচ আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কত চৌকস ছিল, আপনারা জানেন। আজ সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধরে নিয়ে মিয়ানমার অসম্মান করে।’
ইফতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। এতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, মাহবুব উল্লাহ, সদরুল আমিন, সুকোমল বড়ুয়া, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ২০-দলের নেতা অলি আহমদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, শফিউল আলম প্রধান, মোস্তফা জামাল হায়দার, আবদুল লতিফ নেজামী, রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী প্রমুখ।
Prev Post
Next Post