সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবালকে কেউ পছন্দ করে না, এমন তথ্য জাফর ইকবাল নিজেই জানিয়েছেন। যদিও বাংলার তরুণ সমাজের কাছে এ চিত্রটা ভিন্ন।
সোমবার দুপুরে ভিসি কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা জানানা। সোমবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন সরকার সমর্থক ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।
অভিমানী ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি এই আন্দোলনে শারীরিকভাবে না থাকলেও মানসিকভাবে একশত ভাগ সমর্থন করি। আমার একজন ছাত্র একবার আমাকে বলেছিল আমিই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যাকে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, হেফাজত, আওয়ামী লীগ, বাম সংগঠনগুলো একযোগে অপছন্দ করে। আমি যেখানে থাকবো সেখানেই ঝামেলা হবে। সেজন্য আমি এই আন্দোলনে শারীরিকভাবে দূরে সরে ছিলাম।’
তিনি এও বলেন, ‘আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই কারণ আমরা এখানে এমন কিছু ছাত্র সৃষ্টি করেছি যাদেরকে ব্যবহার করা যায়, যারা শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলে। এই অপমান সহ্য করে এখানে থাকা ঠিক না, কিন্তু একবার এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর যে নাটক সাজিয়েছিল ছাত্ররা তারপর এই সিদ্ধান্ত আমরা আর নিতে পারি না। কিন্তু এখন গেলে যে সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে, তাদের ছাত্র সংগঠনের হাতে মাথা নিচু করে বিদায় নেয়া হবে।’
সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতা মো. ফারুক উদ্দিন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছরে সবচাইতে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালো ছাত্রলীগ। যার নেতৃত্বে ছিলেন ভিসি। ভিসির লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর হাতে শিক্ষকসমাজ লাঞ্ছিত, এর চেয়ে লজ্জাজনক কোনো কিছু হতে পারে না।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, অধ্যাপক শরীফ মোহাম্মদ শরাফউদ্দিন, অধ্যাপক তুলসী কুমার দাস, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম দিপু, আব্দুল্লাহ আল শোয়েব, এমদাদুল হক, মোস্তফা কামাল মাসুদ, আল আমিন রাব্বী, সৌরভ রায় প্রমুখ।
এদিকে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান।