মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকার শাহবাগ থানার সামনে রাস্তায় অবস্থান করছেন। মিছিল করে তাঁরা শাহবাগের দিকে আসার পথে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা সড়কে বসে পড়েন।
আজ সকাল ১০টার দিকে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে জড়ো হন। তাঁরা এ সময় ‘যদি হয় প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘উই ওয়ান্ট রি অ্যাকজাম’—এসব স্লোগান দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা শাহবাগে এসে পৌঁছালে প্রচুর পুলিশ সদস্য তাঁদের বাধা দেয়।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানার সামনে বসে পড়েন। পুলিশ তাঁদের ঘিরে রেখেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকেরা রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই মেয়ে।
শিক্ষার্থীদের আজকের কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে তাঁদের প্রেসক্লাবে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তাঁদের প্রেস ব্রিফিং করার কথা।
১৮ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে একযোগে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দেশের ১০টি জেলায় এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রংপুর থেকে তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলে জানিয়েছেন রংপুর সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, একদিকে সরকার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে, অন্যদিকে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তাঁদের কাছে খুব গোলমেলে মনে হচ্ছে।