প্রিয় শিল্পীর কাছ থেকে শুভেচ্ছাটা আশা করা হয়েছিল সুরে সুরে। দিলরুবা খান তা-ই করলেন। মেয়ে শিমুল খানকে সাথে নিয়ে নয়া দিগন্ত বোর্ড রুম ভর্তি দর্শকের সামনে গাইলেন পাগল মন মনরে …। প্রথমে শিল্পী নিজেই বলেছিলেন, খালি গলায় চার লাইনের বেশি গাইতে পারবেন না। তাই গানটির প্রথম অংশ গাওয়ার পর সাহিত্য সম্পাদক জাকির আবু জাফর তালি দিতে শুরু করেন, তাকে অনুসরণ করেন উপস্থিত সবাই। কিন্তু শিল্পী এখানেই থামতে রাজি নন। তিনি বললেন, পুরো গানটিই গাওয়া হবে। শেষতক ওই গানের সাথে আরো একটি গান গেয়ে শোনালেন দিলরুবা খান। তারপর মেয়ে শিমুল খান এবং গায়ক বাঁধন গাইলেন একটি করে গান। এবার হেড অব মার্কেটিং জহিরুল ইসলাম ফ্লোর নিয়ে বললেন, ‘এখানে গাওয়া গানগুলোর মধ্যে দিলরুবা খানই যে সবচেয়ে সুকণ্ঠী সেটা নিয়ে বোধ হয় কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না।’ এবার দিলরুবা খান বললেন, ‘কিন্তু এই প্রজন্মের শ্রোতারা দিলরুবা খানকে জানে না, পাগল মন গানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না। তাই আমি পাগল মন গানটি নতুন করে গাওয়ার চিন্তা করছি। গানটিতে বাদ্যবাজনায় কিছুটা নতুনত্ব থাকবে।’ দিলরুবা খানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সম্পাদক মাসুদ মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনসহ নয়া দিগন্তের ঊর্ধ্বতন কর্তারা।
এর আগে বেলা আড়াইটায় নয়া দিগন্তকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। এফডিসিতে তখন তার নতুন ছবির শুটিং চলছিল। এরই ফাঁকে নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে চলে আসেন নয়া দিগন্ত কার্যালয়ে। বাপ্পী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে নয়া দিগন্তের সাথে থাকতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। নয়া দিগন্ত উত্তরোত্তর আরো সামনে এগোবে সেই প্রত্যাশা থাকল।’
উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। ‘বেশ বেশ বেশ, শাবাশ বাংলাদেশ…’ গেয়ে তিনিও মাতিয়ে যান নয়া দিগন্ত বোর্ডরুম। পাশাপাশি সত্যের সঙ্গে প্রতিদিন নয়া দিগন্তের বাস যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেই কামনা করেন।
দিনভর শোবিজ জগতের আরো অনেক তারকার পদচারণায় মুখর থাকে নয়া দিগন্ত কার্যালয়। চিত্রনায়িকা কেয়া ও দীপালি আসেন একসাথে। চিত্রনায়িকা আইরিনকে সাথে নিয়ে ঢোকেন চিত্রপরিচালক সাইফ চন্দন। আসেন স্বনামধন্য সঙ্গীত পরিচালক সুমন কল্যাণ। চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং কর্মকর্তা মুন্তাহিদুল লিটন আসেন চিত্রনায়িকা জলিকে সাথে নিয়ে। প্রত্যেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নয়া দিগন্তের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ঠিক সন্ধ্যায় নয়া দিগন্ত কার্যালয়ে উপস্থিত হন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবরিনা সাবা। তিনিও সবাইকে গান শোনান।
সাংবাদিকদের সাথে শোবিজ শিল্পীদের সখ্য পেশাগত কারণেই। তবে সেই সখ্য কখনো কখনো পেশাগত মাপকাঠিকেও ছাড়িয়ে যায়। পেশাদারিত্বের ভেতরে ভেতরে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের মূল্য দিতেই সাংবাদিক-শিল্পী হয়ে ওঠেন একে অপরের আত্মীয়। নয়া দিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিল্পীরা যেন সেই আত্মীয়তার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে গেলেন।