‘সরকারকে আলু উপহার দেয়ার জন্য নিয়ে এসেছি। যে আলু উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫ টাকা আর বিক্রি হয় মাত্র ১-২ টাকা দামে।’
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির আয়োজনে ‘আলুর কেন দাম নাই’- এই শ্লোগানে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি মোরসেদ আলী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী আপনাদের মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১০ টাকা করে আলু কেনার ব্যবস্থা করেন। বিশ্বের অন্য সব দেশে কৃষি সংরক্ষণ করে সরকার। আর আমাদের দেশের সরকার এমন উদ্যোগ না নিয়ে ব্যস্ত থাকেন মারামারি নিয়ে।’
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দ্র বলেন, ‘আমাদের দেশে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহ আলুর ন্যায্য মূল্য দিতে পারেনা সরকার। আর তারা ভোটের সময় শুধু মুখে বলে কৃষিবিদ সরকার।’
তিনি বলেন, আগামী এক দুই মাস পর মুন্সিগঞ্জে নতুন আলু উঠবে। মুন্সিগঞ্জে আলুর উৎপাদন হয় প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন। অথচ আলু সংরক্ষণ ব্যবস্থা আছে মাত্র ৪ লাখ মেট্রিক টনের।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ১-২ টাকা দরে কিনে ঢাকা শহরে ১০-১৫ টাকা দরে আলু বিক্রি হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সহ-সভাপতি নূর রহমান সেলিম আক্ষেপ করে বলেন, ‘আলু চাষিদের কাছ থেকে যদি ন্যায্য দামে আলু কিনতে বা আলু সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে আমরা আপনাদের মতো মন্ত্রী চাইনা।’
সমাবেশ শেষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা কৃষকদের নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করার জন্য মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তারা তাদের নিজেদের কার্যালয়ে ফিরে যান।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি মোরসেদ আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সদস্য রোমান কানন আরা প্রমুখ।