নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এপর্যায়ের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডাবল শিফ্ট এবং সহশিক্ষা চালুর অনুমতিও আপাতত স্থগিত থাকবে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর বাস্তবায়ন ও কার্যকর করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষানীতির আলোকে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রাথমিক হিসেবে বিবেচিত হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানের অনুমতির বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা করা হবে। সূত্র জানায়, হস্তান্তরপ্রক্রিয়া শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাঠদানের অনুমতি-একাডেমিক স্বীকৃতি-অতিরিক্ত শ্রেণী শাখা খোলা-বিষয় খোলা-বিভাগ খোলাসংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা যুগোপযোগী করা হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালু করার লক্ষ্যে একটি পৃথক সার্কুলার জারি করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালুর ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ কার্যকর করতে আপাতত সব ধরনের নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলের পাঠদানের অনুমতি স্থগিত থাকবে। তবে ইতঃপূর্বে মন্ত্রণালয় যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি দিয়েছে, সব শর্ত পূরণসাপেক্ষে কেবল সেসব প্রতিষ্ঠানকে একাডেমিক স্বীকৃতির অনুমতি দেয়া হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদান-একাডেমিক স্কীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যানবেইসের তথ্যের সাথে যাচাই-বাছাই করে সব শর্ত পূরণসাপেক্ষে মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদান-একাডেমিক স্কীকৃতি প্রদান করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো শর্ত শিথিল করা হবে না। কেবল সেসিপ প্রকল্পের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাঠদানের অনুমতি দেয়া যাবে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত স্মারকে এসব সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।