ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১৫ শিক্ষার্থীকে শুক্রবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কুতরা হলেন— ওই ইউনিভার্সিটির বিবিএর মো. সাগর হোসাইন, এমবিএর আলাউর খান ইমরান, এলএলবির ইলিয়াস আহমেদ পুনম, ইংরেজি বিভাগের আনিসুর রহমান আনিস, বিবিএর মইনুল ইসলাম মইনুল, আশিক উদ্দিন আশিক, এলএলবির আবদুল আউয়াল সোহান, ইংরেজি বিভাগের বশির উদ্দিন আহমেদ তুহিন, বিবিএর সুজন মিয়া, এলএলবির হারুন রশিদ হারুন, বিবিএর কাজী কামরুল আহমেদ, বিবিএর নয়ন রায়, ইসিইর সাইদুর রহমান সায়মন, বিবিএর বিশ্বজিৎ দে বাপন ও বিবিএ সায়েদুর রহমান সুমন।
শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ মানবকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগের ব্যাপারেও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাসের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, শামসি বেগম, রাজিব আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. ইউনুস, বিজিত চৌধুরী, প্রফেসর মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও রেজিস্ট্রার নসরত আফজা চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফটকের সামনে হামলার শিকার হন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তিনি মারা যান।
Prev Post