গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে নিম্নমুখিতার কারণে আগের টানা তিনদিনের দরপতনের পর এদিন আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে পণ্যটির বাজার। মার্কেট ওয়াচ জানায়, দরবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে ডলারের অবমূল্যায়ন ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন। স্বর্ণের ধারাবাহিকতায় মূল্যবান ধাতুর বাজারে এদিন একই সঙ্গে দাম বেড়েছে রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি জানান, সামনের দিনগুলোয় ইসিবির নতুন করে সুদহার হ্রাসের সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
দ্রাঘির বক্তব্য প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাবাজারে ডলারের বিনিময় মূল্য কমতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে স্বর্ণসহ মূল্যবান অন্যান্য ধাতুর দাম। বিষয়টি নিয়ে লন্ডনভিত্তিক স্বর্ণ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বুলিয়ন ভল্টের গবেষণা বিভাগের প্রধান আদ্রিয়ান অ্যাশ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতেও দ্রাঘির পক্ষে সুদহার ঋণাত্মক মানে নিয়ে যাওয়া বা মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে ইউরোর আরো অবমূল্যায়ন সম্ভব নয়। তিনি এরই মধ্যে স্বর্ণে বিনিয়োগের তুলনায় ইসিবিতে জামানত রাখার খরচ তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (কোমেক্স) এপ্রিলে সরবরাহের চুক্তিতে স্বর্ণের দাম বেড়েছে আউন্সে ১৫ ডলার ৪০ সেন্ট। আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে এদিন পণ্যটির বাজার স্থির হয় প্রতি আউন্স ১ হাজার ২৭২ ডলার ৮০ সেন্টে। বৃহস্পতিবার বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার আগে দিনব্যাপী লেনদেনের এক পর্যায়ে পণ্যটির মূল্য নেমে যায় প্রতি আউন্স ১ হাজার ২৩৮ ডলার পর্যন্ত।
স্বর্ণের ধারাবাহিকতায় এদিন দাম বেড়েছে রুপার। কোমেক্সে বৃহস্পতিবার মে মাসে সরবরাহের চুক্তিতে ধাতুটির মূল্য বেড়েছে আউন্সে ১৮ দশমিক ৩ সেন্ট। আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে এদিন পণ্যটির বাজার স্থির হয় প্রতি আউন্স ১৫ ডলার ৫৫ সেন্টে।
Next Post