নাশকতার মাধ্যমে ফের সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তৎপর হয়ে ওঠেছে জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। চট্টগ্রামে তাদের একটি পরিকল্পনা পণ্ড করে দিয়েছে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের প্রবেশ পথে বিমান রেস্টুরেন্টে বৈঠক কালে ১৭ নাশকতাকারি জামায়াত শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আটক ১৭ জনের গ্রুপটি শাহ আমানত বিমান বন্দর ও তেল শোধনাগারের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শিবিরের তেল শোধনাগারে নাশকতার একটি বড় ধরণের পরিকল্পনা পণ্ড করে দিয়েছিল পুলিশ। সম্ভবত, তারই ধারাবাহিকতায় ফের তারা বৈঠকে মিলিত হয়েছে বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানায় তিনি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভূজপুর ট্রাজেডিসহ নাশকতার অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের কাছে জামায়াতের ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি বিষয়ে একটি বই পাওয়া গেছে।
আটককৃতরা হলো— কুমিল্লা জেলার ইউসুফ মিয়া (৪২) নোয়াখালীর সেলিম পাটোয়ারি(৫২) মাহবুব হক (৫৫), চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মীর নাসির (৪৫), ভুজপুরের আব্দুস সালাম (৪৮) এজাহার মিয়া (৪৫), নাজিম (৪৯), সিতাকুন্ডের আব্দুল কাদের (৫২), কাজী মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন(৪৫), আব্দুর রশীদ (৫০), সালে মুসা (৪৫), জোরালগঞ্জের আবু তাহের (৫৮) এমদাদুল হক (২৬), হাটহাহাজারীর দেলওয়ার হোসেন( ৩৭), জানে আলম (২৮), মিরাসরাইয়ের নুরুল হুদা (৫০)।
উল্লেখ, গত বছরের ২৭ মার্চ বন্দর থানা পুলিশ ইস্টান রিফাইনারিসহ রাষ্ট্রায়ত্ব তিনটি তেল ডিপোতে নাশকতার অভিযোগে ছাত্র শিবির পতেঙ্গা থানা শাখার সভাপতি মো. ফজলুর রহমান রুবেল (২৫) মো. জমির উদ্দিন (২৪), মো. খালিদ হাসান প্রকাশ রানা (৩১), মো. আবদুল করিম (২০), মো. মাহবুবুর রহমান (২১), মো. আবদুল করিম (২৩) ও এ জি এম আলী আরিফ (২০)। গ্রেফতার করেছিল। এর আগে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. এনামুল হক দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টান রিফাইনারিতে নাশকতা চালাতে চট্টগ্রামে আসেন। তিনি ছিলেন শিবিরে শীর্ষ ৫ নেতাদের অন্যতম। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একদিন আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি সে ধরা পড়ার পর পুরো নাশকতার পরিকল্পনা সর্ম্পকে জেনে যায় পুলিশ।