পাথরঘাটা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র ও ঘাট শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় অত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে আদালত মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
অপরদিকে অনবরত মামলা তুলে ফেলার হুমকি দেওয়ার কথা বলে আজ সংবাদ সম্মেলন করে নিরাপত্তা দাবি করেছেন বাদি।[ads1]
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর পাথরঘাটা আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে বিএফডিসি ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলসহ তার সহযোগীরা অপহরণ করে আটকে রাখে। তার মা মাহমুদা বেগম বাদি হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। ওই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত কিন্তু কোনওক্রমে তিনি গ্রেপ্তার হননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্কুলছাত্রী শিশু অপহরণ মামলায় আসামি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল সহ ১৩ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ট্রাইবুনালের আদালত সোহেলকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে ওই মামলার বাদি মাহমুদা বেগম ও তার মেয়ে নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা জানান, প্যানেল মেয়র-১ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএফডিসি মৎস্য ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করা করার পর থেকেই হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। সোহেল জেল হাজতে যাওয়ার পরও তারা নিরাপদ মনে করছে না। তার লোকজন অবিরাম হুমকি দিয়ে আসছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মা মাহমুদা বেগম পাথরঘাটা থানায় গত ২৪ মে সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।[ads2]