বাংলাদেশ দলের হলোটা কী -জানাচ্ছেন মুশফিক নিজেই!

0

image_119529.thumbnailএর চেয়ে তো আর খারাপ কিছু হতে পারে না। বাংলাদেশ দলের হলোটা কী! যে দল মাত্র তিন-চার মাস আগেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামত, হেরে গেলেও বড় দলগুলোর ঘাম ছুটিয়ে ছাড়ত, গত অক্টোবরেই যারা নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের আনন্দে নেচেছে, সেই দলটাই মাত্র কয়েকটা মাসের ব্যবধানে কেন আত্মবিশ্বাসের একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে!

তবে কি দলের খেলোয়াড়েরা ‘অন্যরা কী ভাবছে’, ‘সবাই কী বলছে’—এসব নিয়ে বেশি ভাবছেন? ভেবে ভেবে হারিয়ে খুঁজছে একদম নিজেদের খেলাটাও! অধিনায়ক মুশফিকও অনেকটা সেভাবেই দেখছেন ব্যাপারটা। টানা চার ম্যাচ বাজে হারের স্বাদ নিয়ে অধিনায়কেরও মনে হচ্ছে ব্যাপারটা অনেকটা তা-ই।

আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের বক্তব্য, ‘গত দুই মাসে আমরা কিন্তু খুব বাজে ক্রিকেট খেলিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ ও এই বিশ্বকাপ মিলে তিনটি ম্যাচ ছিল আমাদের জন্য খুব বড় ধাক্কা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আমরা জেতা ম্যাচ হেরেছি, এশিয়া কাপে আফগানিস্তান আর এখানে হংকং—এই তিনটি ম্যাচই মূল ক্ষতিটা করেছে। এসব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটাই চাপটা তৈরি করে দিয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটির আগে নতুন আর কী চেষ্টা করবেন মুশফিক? পাশার সব দানই যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নতুন আর কী ভাবনা ভাবা যায়—ব্যাপারটি ধন্দে ফেলে দিয়েছে তাঁকেও, ‘আমরা সম্ভব প্রায় সবকিছুই ব্যবহার করে ফেলেছি। একটা কম্বিনেশন দাঁড় করানোর চেষ্টা করে গিয়েছি। কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ হয়েছে। এখানে যা খেলছি, এর চেয়ে তো আর খারাপ কিছু হতে পারে না।’

ঐতিহাসিকভাবেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ ভালো না। অতীতে আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ডের কাছে হারের রেকর্ড যে দলের আছে, তাদের জন্য ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে এই ফল কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? মুশফিক অবশ্য ব্যাপারটা এভাবে দেখতে রাজি নন, ‘দেখুন আমরা জানি আমরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো দল নই। কিন্তু এতটাও বাজে দল নই। আমরা লড়াই করতে পারি। অতীতে লড়াই করেছিও। সুপার টেনে প্রতিপক্ষগুলো খুব শক্তিশালী। দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফর্মে নেই। থাকলে হয়তো আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’

‘টপ ফোর’ ফর্মে না থাকাকে ব্যর্থতার একটা বড় কারণ হিসেবে মনে করেন মুশফিক, ‘যখন খারাপ হয়, তখন সবকিছুকেই খারাপ মনে হয়, ভালো করলে কিন্তু অনেক ভুল-ভ্রান্তিও ঢাকা পড়ে যায়। আমাদের এখন সবকিছুই খারাপ। দলের সেরা খেলোয়াড়েরা ফর্মে নেই। ফর্মহীন খেলোয়াড়দের পক্ষে এই ফরম্যাটে মাঠে গিয়েই শট খেলা সম্ভব হয় না। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের ফর্মে না থাকার জন্য কোনো কিছুই ঠিকভাবে হচ্ছে না।’

কবে বাংলাদেশের সবকিছু আবার ‘ঠিকঠাকভাবে’ হবে, এর উত্তর যে মুশফিকের কাছেও নেই! প্রথম আলো।বাংলাদেশ দলের হলোটা কী -জানাচ্ছেন মুশফিক নিজেই!

হ্যালোটুডে ডেস্ক : এর চেয়ে তো আর খারাপ কিছু হতে পারে না। বাংলাদেশ দলের হলোটা কী! যে দল মাত্র তিন-চার মাস আগেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামত, হেরে গেলেও বড় দলগুলোর ঘাম ছুটিয়ে ছাড়ত, গত অক্টোবরেই যারা নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের আনন্দে নেচেছে, সেই দলটাই মাত্র কয়েকটা মাসের ব্যবধানে কেন আত্মবিশ্বাসের একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে!

তবে কি দলের খেলোয়াড়েরা ‘অন্যরা কী ভাবছে’, ‘সবাই কী বলছে’—এসব নিয়ে বেশি ভাবছেন? ভেবে ভেবে হারিয়ে খুঁজছে একদম নিজেদের খেলাটাও! অধিনায়ক মুশফিকও অনেকটা সেভাবেই দেখছেন ব্যাপারটা। টানা চার ম্যাচ বাজে হারের স্বাদ নিয়ে অধিনায়কেরও মনে হচ্ছে ব্যাপারটা অনেকটা তা-ই।

আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের বক্তব্য, ‘গত দুই মাসে আমরা কিন্তু খুব বাজে ক্রিকেট খেলিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ ও এই বিশ্বকাপ মিলে তিনটি ম্যাচ ছিল আমাদের জন্য খুব বড় ধাক্কা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আমরা জেতা ম্যাচ হেরেছি, এশিয়া কাপে আফগানিস্তান আর এখানে হংকং—এই তিনটি ম্যাচই মূল ক্ষতিটা করেছে। এসব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটাই চাপটা তৈরি করে দিয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটির আগে নতুন আর কী চেষ্টা করবেন মুশফিক? পাশার সব দানই যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নতুন আর কী ভাবনা ভাবা যায়—ব্যাপারটি ধন্দে ফেলে দিয়েছে তাঁকেও, ‘আমরা সম্ভব প্রায় সবকিছুই ব্যবহার করে ফেলেছি। একটা কম্বিনেশন দাঁড় করানোর চেষ্টা করে গিয়েছি। কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ হয়েছে। এখানে যা খেলছি, এর চেয়ে তো আর খারাপ কিছু হতে পারে না।’

ঐতিহাসিকভাবেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ ভালো না। অতীতে আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ডের কাছে হারের রেকর্ড যে দলের আছে, তাদের জন্য ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে এই ফল কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? মুশফিক অবশ্য ব্যাপারটা এভাবে দেখতে রাজি নন, ‘দেখুন আমরা জানি আমরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো দল নই। কিন্তু এতটাও বাজে দল নই। আমরা লড়াই করতে পারি। অতীতে লড়াই করেছিও। সুপার টেনে প্রতিপক্ষগুলো খুব শক্তিশালী। দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফর্মে নেই। থাকলে হয়তো আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’

‘টপ ফোর’ ফর্মে না থাকাকে ব্যর্থতার একটা বড় কারণ হিসেবে মনে করেন মুশফিক, ‘যখন খারাপ হয়, তখন সবকিছুকেই খারাপ মনে হয়, ভালো করলে কিন্তু অনেক ভুল-ভ্রান্তিও ঢাকা পড়ে যায়। আমাদের এখন সবকিছুই খারাপ। দলের সেরা খেলোয়াড়েরা ফর্মে নেই। ফর্মহীন খেলোয়াড়দের পক্ষে এই ফরম্যাটে মাঠে গিয়েই শট খেলা সম্ভব হয় না। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের ফর্মে না থাকার জন্য কোনো কিছুই ঠিকভাবে হচ্ছে না।’

কবে বাংলাদেশের সবকিছু আবার ‘ঠিকঠাকভাবে’ হবে, এর উত্তর যে মুশফিকের কাছেও নেই! প্রথম আলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More