[ads1]বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চুরি যাওয়া ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থের মধ্যে ২০ মিলিয়ন ইতোমধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে ১৭ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং এন্টি মানি লন্ডারিং কমিশন কর্তৃক জব্দ করা হয়েছে, যা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় হতে এ ব্যাপারে ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিজের সাথে ওই অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অবশিষ্ট অর্থের জন্য ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এন্টি মানি লন্ডারিং কমিশনের মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।[ads1]
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সরকার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট দিয়ে ৭৫ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৩০ মে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্টটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সিআইডি’র তদন্ত দলের তদন্ত কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন এ বিষয়ে দায়েরকৃত মামলার প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে- যা আদালতে প্রক্রিয়াধীন বিষয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে প্রচলিত আইনমতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।[ads2]