বৃটিশ রাজনীতিতে নাটকীয়তা

0

full_2142262963_1466838349[ads1]ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের ঘোষণার পর বৃটেনের রাজনীতিতে নতুন এক নাটকীয়তা জমে উঠেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার মধ্যমণি হয়ে ওঠা লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তিনি যাতে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে সমর্থন জানানো কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা, সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
ব্রেক্সিট: রিমেইন সাপোর্টার্স প্লান টু জয়েন কনজার্ভেটিভ পার্টি টু স্টপ বরিস জনসন বিং প্রাইম মিনিস্টার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক কেটি ফরস্টার।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও বরিস জনসন একই কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা। কিন্তু ব্রেক্সিট প্রশ্নে দু’জন বিপরীতমুখী অবস্থান নেন। ক্যামেরন বৃটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পক্ষে আর বরিস জনসন বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। শেষ লড়াইয়ে বরিস জনসনের কাছে পরাজিত হন ক্যামেরন। তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বরিস জনসন, এমন কথা বলছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক বোদ্ধারা।[ads1]

কিন্তু যে বরিস জনসনের কারণে ডেভিড ক্যামেরনকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া হলো তাকে সহজে ছেড়ে দেবেন না ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনকে রাখার সমর্থক কনজার্ভেটিভ পার্টির সমর্থকরা। তারা যে করেই হোক বরিস জনসনকে ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।
এ পক্ষের এক সমর্থক কিটম্যান টুইটারে লিখেছেন, আমি কনজার্ভেটিভ পার্টিতে যোগ দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। শুধু এ কারণে যোগ দেব এ পার্টিতে যাতে আমি মাইকেল গভ ও বরিস জনসনকে অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হওয়া থামাতে পারি।
তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, আমি সিরিয়াসলি বলছি। তারা লিভ ক্যাম্পেইনে যেভাবে সক্রিয় থেকেছেন তা আমি ঘৃণার চোখে দেখি। আমি মাইকেল গভকে আর বিশ্বাস করি না। আর বরিস জনসনের কথা বলছেন! তিনি তো কতগুলো ফাঁকা প্রতিশ্রুতি আওড়ে গেছেন। আমি মনে করি না যে, সুপরিকল্পিত কোন কিছু তার কাছে আছে।
এই একই ধারনা পোষণ করেছেন আরেক টুইটার ব্যবহারকারী রিচার্ড বেলে বলেছেন, আমি শুধু বরিসকে থামাতে চাই। এ জন্য আমি কনজার্ভেটিভ পার্টিতে যোগ দেব। তিন মাস পরে দলীয় কনভেনশনে আমি ভোট দিতে পারবো। গ্রিফ নামে একজন লিখেছেন, এখনই আমাকে এ দলে যোগ দিতে হবে। বরিস যাতে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন আমি সেটা ঠেকাতে চাই।
উল্লেখ্য, কনজার্ভেটিভ দলের মানসম্পন্ন একজন সদস্য হতে হলে একজন সদস্যকে বছরে ২৫ পাউন্ড চাঁদা দিতে হয়। যদি বয়স ২৩ বছরের নিচে হয় তাহলে চাঁদার পরিমাণ ৫ পাউন্ড। এই চাঁদা পরিশোধ করলে একজন সদস্য দলীয় কনভেনশনে ভোট দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবারের গণভোটে ইউরোপের সঙ্গে বৃটেনের থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন বেশির ভাগ যুব সমাজের সমস্য। ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বয়স যাদের তাদের শতকরা ৭৫ ভাগই এমন রায় দিয়েছেন।
অন্যদিকে ৬৫ বছরের বেশি বয়স যাদের তার শতকরা ৪০ ভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে রায় দিয়েছেন। সাংবাদিক ফিলিপ কলিনস টুইটারে তার হাজার হাজার অনুসারীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলেছেন ‘টরি (কনজার্ভেটিভ) পার্টিতে যোগ দাও। বরিসকে থামাও’।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More