[ads1]ট্যাক্স নেয়ার জন্য কাজ না করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখন দারোগার ভূমিকায় কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ূন রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘দে আর নট ট্যাক্স কালেকটর, দে আর দারোগা। বাট এনবিআর নট বি এ দারোগা।’
আর এ কারণেই তাদের কথার ওপর, কাজের ওপর ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না। এর ফলে তারা সব স্তরের মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স নিতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার বাজেট ডায়ালগ অন এসএমই অ্যান্ড ওমেন এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি। বিল্ড, ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড এ সেমিনারের আয়োজন করে।
হুমায়ূন রশীদ বলেন, সবদিকেই আমাদের কিছু কিছু অগ্রগতি আমাদের আছে। যেটা নেই সেটা হলো কোয়ালিটি। যেমন: বিদ্যুৎ আছে। কিন্তু কোয়ালিটিফুল বিদ্যুৎ কতটুকু আমরা পাই? একটা কারখানায় বিদ্যুৎ আছে কিন্তু সেটার ভোল্টেজ বারবারই উঠানামা করছে। তখন আমাকে জেনারেটরের সাহায্য নিতে হচ্ছে। ফলে কষ্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেড়ে যাচ্ছে। [ads2]
এসময় এনবিআর সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, চার পাঁচ বছর ধরে ট্যাক্স যারা দেয় সে সংখ্যাটা ১২ লাখের আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। যেটা আরও অনেক বেশি হতে পারে। এ কাজগুলো আমরা করছি। লোকবলের জন্য এগুলো পিছিয়ে রয়েছে।
এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কী কারণে আমাদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব সে বিষয়টাই আসলে বুঝতে পারছি না। এখানে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। কিন্তু মন্ত্রণালয়গুলোর বিভিন্ন কাজে চরমমাত্রায় অনীহা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ে বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমধান করে উন্নয়নে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় তার ওপর আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিল্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা আসিফ ইব্রাহীম। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইন্সপায়ার্ডের বাংলাদেশ অংশের টিম লিডার আলী সাবেত, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম মাশরুর রিয়াজসহ ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান সহ আরো অনেকে। [ads1]