[ads1]জয়শ্রী দত্ত: অধিকাংশ স্বল্প আয়ের জনগণ, সরকারি ভাতা-খোর কিংবা বঞ্চিত এবং উচ্চশিক্ষা বা দূরদৃষ্টির অভাবসম্পন্ন ভোটাররা কেন অন্য ইমিগ্রান্টদের বের করে দেবার পক্ষে? বিশ্লেষকরা ব্রেক্সিট ভোটারদের সামগ্রিক ব্যাকগ্রাউন্ড জরিপে দেখে তাদের সাইকোলজি ব্যাখ্যা করলেন কেন তারা ব্রেক্সিট এর পক্ষে বা অন্য ইমিগ্রান্টদের পছন্দ করেন না ৷
দেখা গেছে, পর্ব এক এ উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও বাকি কারণ হচ্ছে নিম্নমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং উচ্চতর শিক্ষার ঘাটতি! অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজে কম উপার্জন করে কষ্ট করে দিনাতিপাত করছে বা পরিশ্রম করে উপার্জনের বদলে অলস বসে সরকারি ভাতা নিচ্ছে, কিংবা তার পূর্বপুরুষেরা এদেশে নিম্নমানের জীবনযাত্রা নির্বাহ করার পর স্থায়ী হয়েছেন, কিংবা নিজে সুযোগ সুবিধা কম পাচ্ছেন বলে অন্যের প্রাপ্তিকে তারা নিজের প্রতি ডিপ্রাইভেশন বা বঞ্চনা ধরে নিচ্ছেন, তাদের ভিতর এক ধরনের ঈর্ষা অনুভূতি থেকে এই আত্মকেন্দ্রিকতার সৃষ্টি, আর তাই ইইউ নাগরিকদের অপেক্ষাকৃত কম বাধা বিপত্তিতে একই সুযোগ লাভকে সহ্য করতে পারছিলেন না! এই ‘নার্সিসিটিক’ বা স্বার্থপরতা থেকে তারা না বুঝেই ব্রেক্সিটের ভোট দিয়েছেন ৷
আরেকটি কারণ ছিল, উচ্চশিক্ষার অভাব। অর্থাৎ যে কারণে তাদের ভিতর ‘ইনসাইট ‘/ দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মনোভাব এর অভাব ছিল ভোটার পক্ষে বিপক্ষের উপকারিতার বিষয়ে ৷[ads2]
এধরনের অনেক ভোটারদেরই ভোটের আগে পূর্ণাঙ্গ কোনো ধারণা ছিল না এর ভবিতব্য ফলাফল সম্বন্ধে, যার কারণে ব্রেক্সিটের পক্ষের রাজনৈতিক নেতারা সেই অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত গ্রুপটাকে টার্গেট করে ইমিগ্রেশন, সরকারি ভাতার সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় বৃদ্ধি, নিরাপদ রাষ্ট্র ইত্যাদি সময়োপযোগী কিছু টোপ গেলানো কারণ দেখিয়ে ব্রেক্সিটের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়েছেন, যার আড়ালে আসলে খালি চোখে দেখা যায় না এমন একধরনের ভাইরাস ‘রেসিজম’/শ্রেণী বিভেদ সৃষ্টির পথ সুগম করেছেন!
তবে এই ত্যাগের পক্ষে ও বিপক্ষের জয়টাকে বলা হচ্ছে “ন্যারো উইন”,কেননা মাত্র 3% এর ব্যবধানে এই জয় যার পেছনে আরেকটা দুর্ভাগ্যজনক, বোধ করি সর্বশেষ কারণ হচ্ছে 30% ভোটার ভোটই দেননি, যারা ছিল ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৷
ভোট পরবর্তী তাদের মতামত চাওয়া হলে তারা বলেন, এই ফলাফলে তারা ভীষণ হতাশ এবং দুর্দান্ত আফসোস করছেন ভোটের রেজিস্ট্রেশন না করায় ৷ তারা বলছে, এটাকে তারা পিওর পলিটিক্স ভেবেছিলো এবং বয়স কম বলে তারা ইন্টারেস্টেড ছিলো না এতে নাক গলানোর, কিন্তু এই ফলাফল তাদের কাছে একটা শোক পালনের মতো![ads2]
অর্থাৎ তরুণদের এই 30% ভোট পড়লেও ব্রেক্সিট হয়তো এই তথাকথিত ‘ন্যারো উইন’ টা পেতো না !!!
সূত্রঃ উইমেন চ্যাপ্টার