ইসলামিক স্টেটের কাছে ২০টি দেশ থেকে বিস্ফোরক এবং নানা ধরণের সামরিক রসদ যায়৷ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি রয়েছে তুরস্কে৷ তারপরই রয়েছে ভারত৷ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে৷[ads1]
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক প্রতিবেদনে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের এমন সামরিক রসদ সরবরাহ করার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়৷ প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে, ‘কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ’ (সিএআর) নামের একটি সংস্থার পরিবেশন করা তথ্যের ভিত্তিতে৷
সিএআর প্রায় ২০ মাসের প্রয়াসে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে জানায়, সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস যেসব অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধ করছে তার মধ্যে বিশ্বের ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা অন্তত ৭০০ এমন ধরণের উপাদান রয়েছে যেসব উপাদান ‘ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ বা আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷
২০টি দেশের তালিকায় তুরস্ক, ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রোমানিয়া, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া আর চেক প্রজাতন্ত্রের মতো দেশের নামও রয়েছে৷ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ পত্রিকা এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর বিষয়টি নিয়ে ভারতে তোলপাড় শুরু হয়৷[ads2]
সিএআর জানিয়েছে, ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুরস্কের প্রতিষ্ঠানই ১৩টি৷ আর আইএস-কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রসদ সরবরাহ করার সঙ্গে জড়িত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭টি৷ সরবরাহ করা রসদগুলো লেবানন বা তুরস্ক হয়ে আইএস-এর কাছে পৌঁছায়৷
ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদক৷ চারটি প্রতিষ্ঠান এমন কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে৷ তারা জানায়, লেবানন বা তুরস্কে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বিস্ফোরক বা বিস্ফোরক তৈরির উপযোগী দ্রব্য সরবরাহ করার তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য৷ দুটি প্রতিষ্ঠান অবশ্য স্বীকার করেছে, তারা কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ‘ফিউজ’ বা ডেটোনেটিং কর্ড-এর মতো কিছু জিনিস সরবরাহ করে থাকে৷ তবে প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি, সরবরাহকৃত রসদ শেষ পর্যন্ত কোথায় যায়, কে বা কারা সেগুলো ব্যবহার করে তা তাদের জানা নেই৷[ads2]
ইরাকের রাবিয়া, কিরকুক, মোসুল ও টিরকিট এবং সিরিয়ার কোবানি শহরে আইএস যোদ্ধাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার কথা জানতে পেরেছে সিএআর৷ সিএআর-কে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছে ইরাকের কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থা ও সিরিয়ার ওয়াইপিজিসহ আরো কিছু কুর্দি সংগঠন৷
বিস্তারিত এখানে,