[ads1]ভারতের ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক বলেছেন, তিনি জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন এমন কোনো দাবি বাংলাদেশ সরকারের কোনো কর্মকর্তা তাঁকে জানাননি।
সৌদি আরব অবস্থানরত জাকির নায়েক গতকাল শনিবার এক ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশের সরকার এবং দেশের ভক্তদের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গুলশানে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের একজন জাকির নায়েকের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এমন প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকেই জাকির নায়েক বিভিন্ন দিক থেকে চাপে পড়েছেন।
ভিডিওবার্তায় জাকির নায়েক বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকারের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলেছেন যে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষ হত্যায় আমি উদ্বুদ্ধ করেছি বলে বিশ্বাস করেন না তাঁরা। সে (এক সন্ত্রাসী) আমার একজন ভক্ত ছিল, সেটি ভিন্ন বিষয়।’ [ads2]
জাকির নায়েক বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে আমার লাখ লাখ ভক্ত। বাংলাদেশের ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ আমার ভক্ত। কিন্তু আমি তাঁকে (এক সন্ত্রাসী) নিরপরাধ মানুষ হত্যায় উদ্বুদ্ধ করেছি বলাটা নিষ্ঠুর হবে।’
বিভিন্ন দেশে তাঁকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাকির নায়েক বলেন, ‘আমার জানামতে, যুক্তরাজ্যই একমাত্র দেশ যারা একবার দেশটিতে প্রবেশে আমাকে বাধা দিয়েছিল। তবে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে নিষিদ্ধ করেছে এমন কোনো প্রমাণ আমি পাইনি।’ তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ায় দুটি শীর্ষ পুরস্কার তাঁকে দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ বছরে তিনিই চতুর্থ ব্যক্তি যিনি মালয়েশিয়ার কিং ফয়সাল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। জাকির নায়েক প্রশ্ন তোলেন, সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া কোনো ব্যক্তিকে কি তারা এমন পুরস্কার দিতে পারে?
ভিডিওবার্তায় জাকির নায়েক দাবি করেছেন, ‘সত্যতা যাচাই না করেই ঢাকার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো তথ্য নিচ্ছে। [ads2]
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের দুই সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাকির নায়েকের ওপর তদন্ত করছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে জাকির নায়েকের ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য নিষিদ্ধের বিষয়েও তদন্ত করছে সরকার। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, তাঁদের গোয়েন্দা বাহিনী জাকির নায়েকের বিষয়ে তদন্ত করছে।
ভারতের মহারাষ্ট্রের সরকার জাকির নায়েকের বক্তব্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর জাকির নায়েকের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিদেশি তহবিল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং মানুষকে চরমপন্থা মতবাদের উদ্বুদ্ধে ব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।