বিনিয়োকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। একই সঙ্গে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের (প্রশাসন থেকে মালিকানা পৃথককরণ) পরে বাজারে কিছু সংস্কার আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) স্বপন কুমার বালা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলে ডিএসইর লবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বপন কুমার বালা আরো বলেন, বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর কোনো কারণ নেই। বাজার বাজারের গতিতেই চলছে। তাদের আস্থা অটুট রাখতে ডিএসই কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগকারীদের আইপিও, ব্রোকারেজ হাউজে জমা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কাজ চলছে। মে মাসের মধ্যে এ প্রক্রিয়া চালু হবে। তখন আবেদনকারীদের রিফান্ড জমা হবে না। যারা লটারিতে বিজয়ী হবেন তাদের টাকাই গ্রহণ করা হবে।
ডিএসইর এমডি আরো জানান, আগামি ১৬ এপ্রিলের মধ্যে নতুন সেটেলমেন্ট সাইকেল টি-২ কার্যকরে স্টক ব্রোকার এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিএসই’র অটোমেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য ওএমএক্সের ডিজাইন স্টাডিজের কাজ চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, প্রতিদিন শেয়ারের দাম বাড়া ভালো না। তবে ভালো কোম্পানি আনতে পারলে তা বাজারের জন্য ভালো। শেয়ারের দামের ওঠানামা নির্ভর করে কোম্পানির পারফরমেন্সের উপর। দর বাড়া কমার ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো ভূমিকা নেই। দিন দিন বাজার আরো বড় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।