ঢাকা: সরকার নিয়ন্ত্রিত টেলিটক ছাড়া দেশের পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটর ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ২৫৪৭.১৪ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে।
মোবাইল অপারেটরগুলো হলো- গ্রামীণফোন লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড, রবি অজিয়াটা লিমিটেড, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড এবং প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (সিটিসেল)।
মঙ্গলবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কে এম মাইদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য থেকে দেখা যায়, গ্রামীণফোন লিমিটেড ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়েছে যথাক্রমে ৩০৯০.৯০ ও ১৪০৩.৮০ কোটি টাকা। অন্যদিকে গ্রামীণ ফোনের কাছে সরকারের পাওনা (জুন ২০১২ পর্যন্ত) ৪৫০.৮২ কোটি টাকা। আর এই সময়ের মধ্যে অপরেটরটি বিদেশে পাঠিয়েছে ১১২৯.১০ কোটি টাকা।
বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়েছে যথাক্রমে ১০১৭.১৩ ও ১২৪.৪৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে বাংলালিংকের কাছে সরকারের পাওনা (জুন ২০১২ পর্যন্ত) ২৪২.৪২ কোটি টাকা। আর এই সময়ের মধ্যে অপরেটরটি বিদেশে পাঠিয়েছে ১০২১.৮০ কোটি টাকা।
রবি অজিয়াটা লিমিটেড ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ২০২.৮৮ ও ২১৬.৪৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে রবির কাছে সরকারের পাওনা (জুন ২০১২ পর্যন্ত) ২১৯.১০ কোটি টাকা। আর এই সময়ের মধ্যে অপরেটরটি বিদেশে পাঠিয়েছে ১২.২৯ কোটি টাকা।
এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড, ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়েছে যথাক্রমে ৪২৮.৯৫ ও ৯ .৫৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে এয়ারটেল’র কাছে সরকারের পাওনা (জুন ২০১২ পর্যন্ত) ২১ কোটি টাকা। আর এই সময়ের মধ্যে অপরেটরটি বিদেশে পাঠিয়েছে ৩৭৮ কোটি টাকা।
প্যাসিফিক বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়েছে যথাক্রমে ৬৫.৮৮ ও ৬.৪৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে তার কাছে সরকারের পাওনা (জুন ২০১২ পর্যন্ত) ২৭৯.২৫ কোটি টাকা। আর এই সময়ের মধ্যে অপরেটরটি বিদেশে পাঠিয়েছে ৫.৯৫ কোটি টাকা।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক লিমিটেড ওই সময়ের মধ্যে ১১৩.০৪ কোটি টাকা ভ্যাট এবং ৪.২০ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। অন্যদিকে অপারেটরটির কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৯৬৬.৭৮ কোটি টাকা।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন হতে মোবাইল ফোনের কলরেট সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা/ মিনিটি হতে সবোর্চ্চ ২ টাকা/ মিনিট নির্ধারণ করা আছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো নির্ধারিত এই কলরেটের মধ্যে তাদের ব্যবস্য পরিকল্পনা করে থাকে যা কমিশন হতে নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়া ১০ সেকেন্ড পালস চালুর ফলে গ্রাহকগণ কথা বলায় অনেক স্বাধীনতা ভোগ করছে। যেখানে ২০০১ সালে গড় কলরেট ছিল ৯.৬০ টাকা/ মিনিট সেখানে বর্তমানে গড় কলরেট ৮৩ পয়সা।
এটি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন কলরেট। তাই মোবাইল ফোনের কলচার্জ কমানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই বলে জানান লতিফ সিদ্দিকী।