বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে এমদাদুর রহমান মিলাদ: বিশ্বনাথ থেকে শুঁটকি যাচ্ছে এখন দেশ-বিদেশে। আর এই শুটকি ব্যবসা করে অনেকেই স্বাবলম্ভী হচ্ছেন। তেমননি অনেক বেকার পুরুষ-মহিলাদের হয়েছে কর্মসংস্থানও।
সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা শুঁটকি তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা বাজারজাত করে আসছেন। প্রায় ৪০ জন ব্যবসায়ী এখানে শুঁটকি ব্যবসা করে আসছেন। সবমিলিয়ে শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন এই শুঁটকি আড়ৎ-এ।
জানা যায়, প্রতি বছর নভেম্বর মাস থেকে শুঁটকির মৌসুম শুরু হয়ে যায়। তখন ব্যবসায়ী-শ্রমিক সবার মধ্যেই শুরু হয় প্রাণচাঞ্চল্য। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন সবাই। সব ধরনের মাছের শুঁটকি দেয়া হলেও টেংরা ও পুঁটি মাছের শুঁটকির প্রাধান্যই বেশি। এই শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলে বৃষ্টির মৌসুম আসার আগ পর্যন্ত। এর মধ্যেই অনেক ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট আড়তে শুঁটকি পৌঁছে দেয়ার কাজ সারেন। কেউ কেউ সারা বছরের জন্য শুঁটকি মজুদ রাখেন। ব্যবসায়ীরা এখানে শুটকি শুকিয়ে সিলেটের বৃহৎ শুঁটকি আড়ত ছড়ারপার এলাকায় শুটকি পাইকারী দরে বিক্রি করেন। সেখান থেকে এসব শুটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারী ও খুচনা মূল্যে বিক্রি করে থাকেন।
শুঁটকি ব্যবসা করে এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের হাত ধরে এলাকার বেকার যুবকরাও এ কাজে জড়িত হচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি পাশাপাশি বেকারত্বও কমছে। শুঁটকি উৎপাদনের কাজে এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিক রয়েছেন। তাদেরই একজন, মনোয়ারা বেগম জানান, এই শুটকি ব্যবসায় কাজ করে তার উপার্জিত টাকা দিয়েই তার সংসার চলছে।
হেলাল মিয়া নামের ব্যবসায়ী জানান, তিনি এই বছর থেকে শুঁটকি ব্যবসায় নেমেছেন। গত পাঁচ মাসে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে এক লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ব্যবসায়ী আউয়াল মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর যাবত এখানে ব্যবসা করছি। কখনো লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি। প্রতিবছরই ব্যয় বাদ দিয়ে দুই লাখ টাকার বেশী আয় থাকে। শ্রমিক শহিদুর রহমান বলেন, আমি এখানে গত ৫ বছর যাবৎ কাজ করছি। এখানকার আয় দিয়েই আমার সংসার চলছে।