সিলেট থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বিভাগীয় সমাবেশের প্রচার চালানোর সময় বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী আবদুল হাফিজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে এ মামলা করেন। মামলায় বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার রাতে দুলাল (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে’।
মামলার এজাহারে আবদুল হাফিজ উল্লেখ করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তার গাড়ির গ্যারেজে হামলা করেন। এ সময় তারা একটি গাড়িও ভাঙচুর করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বিয়ানীবাজারে বিএনপির প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণকালে বাধা দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দু’পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপির একাধিক কর্মীকে মারপিটও করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার রাতে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক শামসুল আরেফিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব।
পুলিশের দাবি, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, বিএনপি নেতারা অস্ত্র নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন।
তবে বিএনপি বলছে, শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রচারপত্র বিলি শেষে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, চায়ের দোকান থেকে কোনো অপরাধ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপর দিকে পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিক, কনস্টেবল বাবুল, বাদশা ও দেলোয়ার আহত হন। তারা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
৩২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি হয়েছে বলে জানান বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক শামসুল আরেফিন ।
তবে হবিগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছ বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করেছে। সিলেটের গণসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। পরে তারা এক বিএনপি নেতার দোকানে চা পান করতে যান। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে জাহির খানকে ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশ জনস্বার্থ বিরোধী এ কাজ করেছে।
উৎসঃ দেশ রূপান্তর