রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলায় পুলিশে পরিচয়ে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। তাদেরকে ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাইমিনুল ইসলাম ইমন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অন্যজন হলেন শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব হোসেন রবিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদপুর থেকে বইমেলায় আসা একদল দর্শনার্থীকে আটক করেন। তারা ওই দর্শনার্থীদের মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে তল্লাশি করতে থাকেন। পরে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। ভুক্তভোগীরা চাঁদপুরে ফেরার টাকা নেই বললে ছিনতাইকারীরা ৬০০ টাকা ফেরত দিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে আশপাশের লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যক্তি অপরাধের দায় ব্যক্তির নিজের। এতে বিশ্ববিদ্যালয়েরে কোনো দায় নেই। অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, এটা দুঃখজনক। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রলীগ ছিনতাই, চাঁদবাজিসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’