এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে কথিত প্রশ্ন বিক্রেতাদের ধরে পুলিশে দিতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর ঢাকা বোর্ডে চলমান এইচএসসির একটি পরীক্ষা স্থগিতের মধ্যে তার এই বক্তব্য এলো। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর ওই পরীক্ষা স্থগিতের পাশাপাশি সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিও করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এইচএসসির পদার্থ বিজ্ঞানের সৃজনশীল অংশের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ এমন হয়েছে, মনে হচ্ছে প্রতি দিনই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে প্রশ্ন ফাঁস আলোচিত বিষয় হয়ে গেছে। আসলে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। সুবিধাভোগী কিছু লোক প্রশ্ন বানিয়ে বিক্রি করে। এদের চিহ্নিত করতে পারলে ধরে পুলিশে দেবেন। কারণ, তারা ছেলেমেয়েদের হয়রানি করছে।
এদিন প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত কমিটি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে ডেকে এনে তার সঙ্গে কথা বলে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ফরিদপুর থেকেই প্রথম খবর পেয়েছিলাম। আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তদন্তের জন্য এখনই কিছু বলছি না। জড়িতদের চিহ্নিত করে অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের ধরতে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসনসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান নাহিদ।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাকে সরকার কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে দেখছে জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, জীবন-মরণ প্রশ্ন এটা, এটা কী করে একলা করব? অতি গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিযুক্ত করে দেখছি।
Next Post