সিলেট: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল। ধর্মঘটের বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের কলেজ শাখার কর্মী তাওহীদুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট চলবে।
প্রসঙ্গত, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে দুবৃর্ত্তদের হামলায় বুধবার রাতে তাওহীদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রদলকর্মী খুন হন। তিনি এমবিবিএস ৪৯তম ব্যাচের ছাত্র। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলায় বলে জানা গেছে। ছাত্রাবাসের ১০০৩ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে তাকে খুন করা হয় বলে বিএনপি ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের ক্যাডাররাই হামলা চালিয়ে তাওহীদকে খুন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তাওহীদ তার মা-বোনকে নিয়ে কাজলশাহ এলাকায় থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগকর্মী রাফি তাওহীদকে বাসা থেকে ডেকে আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নং রুমে নিয়ে আসে। সেখানেই তাওহীদকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।’
আশিকুর রহমান দাবি করেন, আহত হওয়ার পর ছাত্রলীগকর্মী শরিফুল ইসলামই তাওহীদকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে তাওহীদের আহতের খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরীয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আবু সিনা ছাত্রবাসে ছাত্রদলকর্মীদের রুমে নিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা মারধর করে। বিষয়টি ৬ মাস আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাওহীদকে আবু সিনা ছাত্রাবাসের ভেতর খুন করে তার লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ খুনে ছাত্রলীগ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদল নিজ দায় ছাত্রলীগের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।’
এদিকে তাওহীদ খুনের প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল শাখা। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল।
কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘তাওহীদের খুনের কারণ তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।’