অর্থনৈতিক সূচকে এক ধাপ এগুলো বাংলাদেশ

0

Globalঢাকা: বিশ্বের অর্থনৈতিক সক্ষমতা সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন ভারত, শ্রীলঙ্কা এমনকি নেপাল ও ভুটানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। তবে পাকিস্তানের চাইতে বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত ‘দ্য গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস-২০১৪-২০১৫’ বা বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯। গতবছর এ সূচকে অবস্থান ছিল ১১০তম। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়েও এগিয়ে। ভারত ও ভুটান বাংলাদেশের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। তালিকায় ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের অবস্থান যথাক্রমে ৭১, ৭৩, ১০২ ও ১০৩। এছাড়া পাকিস্তান ১২৯ এবং মিয়ানমার রয়েছে ১৩৪ তে।

তবে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে মালয়েশিয়া। সূচকের ২০ নম্বরে থাকা দেশটি ২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম এতটা এগিয়েছে।

এবারের বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকের শীর্ষ দশে পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এশীয় দেশ জায়গা করে নিয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও তালিকার শীর্ষে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড ৪ এবং জার্মানি ৫ম স্থানে রয়েছে।

এশিয়ার অন্যতম দেশ জাপান ও হংকং রয়েছে যথাক্রমে ৬ ও ৭ এ। এদের পরেই রয়েছে ইউরোপের অন্যতম দেশ যুক্তরাজ্য। এশিয়ার বৃহত্তম দেশ চীনের অবস্থান ২৮ তে এবং থাইল্যান্ড ও  ইন্দোনেশিয়া রয়েছে যথাক্রমে ৩১ ও ৩৪তম স্থানে।।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। অর্থনীতির ১২টি উপাদান যেমন: আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, অর্থনৈতিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, পণ্য বাজারের দক্ষতা, শ্রমবাজার, আর্থিক বাজার উন্নয়ন, প্রযুক্তি, বাজারের আকার, ব্যবসা এবং উদ্ভাবনের ওপর নির্ভর করে তারা এই তালিকা তৈরি করে থাকে এবং এই তালিকাটির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More