আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শেয়ারবাজার লেনদেন ও সূচকের আচরণ ছিল ইতিবাচক। একইসঙ্গে ঈদুল আযহা পরবর্তী দিনগুলোতেও শেয়ারবাজারে উভয়ের ইতিবাচক দাপট থাকবে এমন প্রত্যাশায় করছেন বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা মনে করেন, মূলত শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজারের লেনদেন ছিল পূর্বে চেয়ে বেশি। ফলে শেয়ারবাজারে সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় আস্থাও ছিল ইতিবাচক। একইসঙ্গে ঈদুল আযহা পরবর্তী দিনগুলোতেও শেয়ারবাজারে লেনদেন ও সূচকে ইতিবাচক দাপট অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তারা।
তারা আরো জানান, ২০১০ থেকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সময়ে বাজারে ব্যাপক প্রফিট টেকিংয়ের কারণে নেতিবাচক প্রভাব নেমে আসতে দেখা গেছে। কিন্তু এবারের ঈদুল আযহার পূর্ববর্তী দিনগুলোতে সেভাবে কোন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ায় সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। অপরদিকে হরতাল ও রাজনৈতিক অন্য ইস্যুগুলোতে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে ভয়ের মধ্যে দিন অতিবাহিত করত সাম্প্রতিক সময়ে সে ধরনের কোন ইস্যু নেই। ফলে দিনে দিনে বাজারে লেনদেন ও সূচক উন্নতির ছাপ বিরাজ করছে। এছাড়া যে সকল বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে ইক্যুইটি নেগেটিভ ছিল তারাও এখন শেয়ারবাজারে লেনদেন করতে পারছে। যা সার্বিকভাবে ভাল লক্ষণ বলে জানালেন তারা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা মনে করেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হওয়ায় ধারাবাহিক লেনদেন ও সূচক বাড়ছে। একইসঙ্গে আসন্ন ঈদুল আযহা পূর্ববতী সময়ে শেয়ারবাজার লেনদেন ভাল। ঈদুল আযহা পরবর্তী দিনগুলোতেও শেয়ারবাজার আরো ভাল অবস্থানের দিকে অগ্রসর হবে বলে মনে করেন তিনি।
আইডিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনে করেন, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শেয়ারবাজার লেনদেন ও সূচক ছিল ইতিবাচক। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বের অনেক নিস্ক্রিয় বিনিয়োগকারী লেনদেনে ফিরেছেন। আবার সিডিবিএলে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগে স্থিতিশীলতা ছিল না। আবার বাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন ও সূচক বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। তাই শেয়ারবাজারের এ উর্ধ্বগতি আমেজ থাকাটা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।