ঢাকা: এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ১৯ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ তেল আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কুয়েত, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া এবং তুরস্ক থেকে ওই তেল আমদানি করা হবে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
বৈঠক শেষে তিনি আরো জানান, সভায় জ্বালানি তেল আমদানির ১০টি প্রস্তাব ছাড়াও ৫০ হাজার মেট্রিক টন করে দুটি লটে ১ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মাধ্যমে ৫ লাখ টন বাল্ক সার আমদানির লক্ষ্যে ১৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে রিসিভার্স ও পরিবহন এজেন্ট নিয়োগের আর্থিক প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এ জন্য সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ৬১১ কোটি টাকা।
কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (কেপিসি) থেকে মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার টন জ্বালানি ক্রয় করা হবে। এতে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ব্রুনাইয়ের থেকে ৮০ হাজার জ্বালানি আমদানি করা হবে। এ খাতে সরকারের ব্যয় হবে ৩০৯ কোটি টাকা। মালয়েশিয়া থেকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন জ্বালানি তেল ক্রয় করা হবে। এতে ১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। গণচীন থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন জ্বালানি কেনা হবে। এ খাতে সরকারের ব্যয় হবে ৪৯৩ কোটি টাকা।
ভিয়েতনাম থেকে ৯০ হাজার টন জ্বালানি আমদানি করা হবে। এ জন্য খরচ হবে ৩০২ কোটি টাকা। ফিলিপাইন ১ লাখ ৬০ হাজার টন জ্বালানি কেনা হবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৬৩০ কোটি টাকা। ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ২৪৩ কোটি টাকা।
তুরস্ক থেকে ৩০ হাজার টন গ্যাস অয়েল আমদানি করা হবে। এ জন্য ব্যয় হবে ১২৫ কোটি টাকা। চীন থেকে ১ লাখ টন জ্বালানি কেনা হবে। এ জন্য খরচ হবে ৩৬৮ কোটি টাকা।