ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তদন্তসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে দেশটি।শুক্রবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জেন সাকি তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তীব্র ভাষায় অভিজিৎ রায়ের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে; এই হামলা শুধু নৃশংসই নয়, চরম কাপুরুষোচিতও। অভিজিৎ একজন সাংবাদিক, মানবতাবাদী, একজনের স্বামী এবং অনেকের বন্ধু ছিলেন। তার স্বজন ও বন্ধুদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। নির্মম হামলায় আমরা তাকে হারিয়েছি। এটা শুধু একটি ব্যক্তির ওপর হামলায় নয়, বাংলাদেশের সংবিধানে দেওয়া সর্বজনীন মৌলিক অধিকার এবং মুক্তমত, বুদ্ধিবৃত্তি, ধর্মীয় চর্চা ও দেশের প্রশংসনীয় ঐতিহ্যের প্রতি কাপুরুষোচিত আক্রমণও বটে।’
কারা ও কোন উদ্দেশ্যে ওই হত্যাকাণ্ড হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেন সাকি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। অবশ্যই, এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া দরকার, তা আমরা দেব। যদি এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য আমাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয় তা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা তার (অভিজিৎ) সমন্ধে জানি। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে বর্ণনা করার মতো কোনো কিছু আমাদের কাছে নেই।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যে নিন্দা জানিয়েছে।