ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ত্যাগের উদ্দেশ্যে ছাত্ররাজনীতি করতে হবে। ভোগের উদ্দেশ্যে নয়। ত্যাগ করার মনোভাব নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোগে নয় ত্যাগেই প্রাপ্তি। কি পেলাম সেটা বড় কথা নয়। কি দিতে পারলাম সেটাই বড় কথা। এদেশের মানুষের জন্য যতটুকু উন্নয়ন করতে পারবো সেটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। সেখানেই আমার স্বার্থকতা।
আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট শোকসভায় আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সম্পদের খোঁজে রাজনীতি করেছে তারা ইতিহাসের আস্থাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আর যারা লোভলালসাকে বিসর্জন দিয়ে রাজনীতি করেছে তারা এখনও রাজনীতির ময়দানে টিকে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাক জিয়াকে সেনা প্রধান করেছিল। জিয়া খুনিদেরকে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছে। বেইমান শমসের মুবিন চৌধুরী একাজে জিয়াকে সহযোগিতা করেছে। বেইমান শমসের মুবিন এখন বিএনপির রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, জিয়া খুনিদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করেছে। খালেদা ক্ষমতায় এসে খুনিদেরকে সংসদে এনে বসায়। এইভাবে তারা খুনিদের পুনর্বাসন করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন সংগঠন করার জন্য। অনেকে সংগঠন ছেড়ে মন্ত্রিত্ব নেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেটা করেননি। এর এই ধরনের মহৎ কাজে সাহস যুগিয়েছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজলাতুন্নেছা মুজিব।