সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসকে সালাম না দেওয়ায় উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিবকে চরিত্রহরণমূলক কটূক্তি, অশ্লীল ভাষায় বকাবকি ও বেয়াদব বলে লাঞ্ছিতমূলকভাবে এক মিটিং থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে খতিব মতিউর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে ওই খতিবের সঙ্গে ইউএনওর দুর্ব্যবহার ও খতিবকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ মিটিং থেকে বের করে দেওয়ার ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মতিউর রহমান ১২ রবিউল আওয়াল ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার লক্ষ্যে পরামর্শ করতে গত ৮ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে মসজিদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের কাছে মোবাইল করেন। এ সময় মোবাইলে সালাম না দিয়েই কথা বলেন।
কথা শেষ হওয়ার ২ মিনিট পরেই ইউএনও কল ব্যাক করে তাকে কেন সালাম দেওয়া হয়নি তা কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে খতিব ভুল স্বীকার করে বলেন, বেখেয়ালে সালামটা দেওয়া হয়নি।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গত ১৯ অক্টোবর ইসলামি ফাউন্ডেশনের আহবানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় উপস্থিত হন ওই খতিব। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস ৮ অক্টোবর মোবাইলে সালাম না দেওয়ায় খতিবের ওপর আবারো ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে খতিবকে বিভিন্ন ভাষায় বকাবকি ও বেয়াদব বলে মিটিং থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমেও জানা যায়।
এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে মসজিদের খতিব একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।