‘এই শালা আমি কে!’ কুবিতে ছাত্রলীগকে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত

0

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে উদ্দেশ করে ‘এই শালা, আমি কে? আমি শিক্ষক, তাহলে সেভাবেই কথা বলতে হবে’ বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন এই সহকারী প্রক্টর।

গতকাল সোমবার রাত ১০টায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের রুমে এ ঘটনা ঘটে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পরিচয় ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ওঠার চেষ্টা করেন সাবেক কয়েক ছাত্র। তবে তাদের অছাত্র দাবি করে হলে উঠতে বাধা দেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের এক নেতাকে এ কথা বলেন অমিত দত্ত। পরে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় দু’পক্ষের মাঝে।

এ সময় সেখানে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরীসহ কয়েকজনকে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা যায়। তবে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেননি দাবি করে অমিত দত্ত বলেন, আমি এমন কথা বলিনি। এটা আপনি কিভাবে জেনেছেন? ভিডিও থেকে জানতে পেরেছি বলার পর তিনি বলেন, আমি এমন কিছু বলিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুর বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস, সাবেক ছাত্র মাহী হাসনাইন ও ইকবাল খানসহ বেশ কয়েকজন ‘অবৈধ’ভাবে হলে ওঠার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে আমিনুর ছাড়া সকলেরই ছাত্রত্ব শেষ। তারা হলে উঠতে গেলে বাধা দেন হল ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা। এ বিষয়ে এ পক্ষের নেতা স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, আমার এক ছোট ভাইকে হলে উঠতে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের কোনো কারণ ছাড়াই বাধা দিয়েছে।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ অভিযোগ করেন, আমরা বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা দিতে সেখানে উপস্থিত হই। কিন্তু সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বহিরাগতদের সুযোগ করে দিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তিনি আমাদের আশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এখানে হত্যামামলার প্রধান আসামিসহ কয়েকজন অছাত্র এসে হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভোগায় তাদের প্রতিহত করতে গেছে। তারাই কয়েক মাস আগে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল ও ফাঁকা গুলির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, আমরা হলের সকল প্রক্রিয়া মেনেই শিক্ষার্থী তুলব। যারা হলে উঠতে চেয়েছে, তারা হল প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়নি। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।

উৎসঃ   দেশ রূপান্তর
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More