গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ছিনতাই মামলা

0

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ছিনতাই মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

তবে রায়েরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যাদের আটক করেছি তারা রাতের বেলা ছিনতাই করার জন্য বৈশাখী মাঠের কোনায় দাঁড়িয়েছিল। এ সময় তাদের অস্ত্রশস্ত্রসহ আটক করেছি। তাদের সঙ্গে আমার পারিবারিক কোনো শত্রুতা নেই। তাহলে অযথা কেন তাদের আমি আটক করে মামলা দেব। তাদের আটক করে মামলা দেওয়ার পর এখন আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।

জানা যায়, শনিবার রাতে অফিস শেষে বাসায় ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে সাব্বির ও জাকারিয়া (বাবু)। রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ৫-৭ জনের পুলিশের একটি দল প্রথমে বাবুর বাসার দরজায় জোরে জোরে নক করে বাবুকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায়। 

এত রাতে কেন তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে? এমন প্রশ্ন করলে রবিউল ইসলাম তাদের স্বজনদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি করেন। এরপর সাব্বিরের বাসায় এসে তাকেও ঘুম থেকে তুলে রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

সাব্বিরের স্ত্রী সাথী আক্তার বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞেস করি আমার স্বামী কোনো মামলার আসামি কিনা তখন তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। আমরা সবাই ফাঁড়িতে গেলে সেখান থেকে বলা হয়, তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা রাত তিনটার দিকে থানায় গিয়ে দেখি তারা থানায় নেই। পরে অপেক্ষা করার পর ভোর ৫টার দিকে তাদের হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় আনা হয়।

একই সময় বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় জাকারিয়া বাবু নামের আরেক কিশোরকে। তার মা লাকী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে অফিস থেকে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ করে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ এসে বাসার দরজা নক করে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।  পুলিশ তাদের নেওয়ার সময় বলে একটা ছিনতাই হয়েছে। আমরা সিসি ফুটেজ দেখে যাচাই-বাছাই করে তাদের ছেড়ে দেব। তখন আমি আমার ছেলেকে ট্রাউজার আর গেঞ্জি পরিয়ে দিই। কিন্তু সকালে পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে ছিনতাই মামলা দিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।

jugantor

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More