বরিশালের গৌরনদীর সুন্দরদী এলাকায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী কবিতা বেপারীর (১৫) লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কবিতা ওই গ্রামের আয়নাল বেপারীর কন্যা ও টরকী বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী।
কবিতার পিতা আয়নাল হক বেপারী জানান, পার্শ্ববর্তী ধানডোবা গ্রামের লালমিয়া চৌকিদারের ছেলে আজাদ হোসেন কালু চৌকিদারের সঙ্গে কবিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দেড় মাস পূর্বে প্রমের টানে কালুর সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের আত্মীয়দের মধ্যস্থতায় কবিতাকে ফেরত দেয়া হয়। গত রোববার তার কন্যা রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে গৌরনদী থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে রাজু ঘরামীর বাড়ির সম্মুখে ডোবার মধ্যে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোমরে ও গলায় রশির সঙ্গে পাটা বাঁধা অবস্থায় কবিতার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, কবিতাকে হত্যা করা হয়েছে এতে সন্দেহ নেই। তবে কবিতার বাবা আয়নাল বেপারীর আচরণ ও অসংলগ্ন কথা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। গত রোববার কবিতা বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে স্বজনরা কালুদের বাড়িতে খোঁজ চালায়। তবে কবিতাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। গত সোমবার রাতে কবিতা বাসায় ফিরলে তার বাবা, ভাই ও মামা কবিতাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে।
ওসি আরো জানান, লাশ উদ্ধারের পর কবিতার পিঠে লাঠির আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। এসব কারণে কবিতার পরিবারকে সন্দেহের বাইরে রাখা যাচ্ছে না। লাশ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।