চালক না থাকায় ডেমুসহ ২২ ট্রেন বন্ধ

0

demu-trainদিনাজপুর: পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের লালমনিরহাট-পাকশী ডিভিশনের আওতায় বৃহত্তম চার লাইনের জংশন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেনে চালক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

৩৬ জন চালকের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। আর স্বল্পসংখ্যক চালক দিয়ে ১৮টি ট্রেন পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে সহকারী চালক দিয়ে।

চালকের অভাবে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও এবং পার্বতীপুর-লালমনিহাট রুটে চলাচলকারী দুটি ডেমু ট্রেন। এর আগেই বিভিন্ন সময়ে বন্ধ হয়েছে ২০টি ট্রেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালক সংকটে আরও কিছু ট্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

দেশের বৃহত্তম চার লাইনের জংশন পার্বতীপুর লোকোশেডের অধীনে আন্তঃনগর একতা, দ্রুতযান, নীলসাগর, রুপসা, তিতুমীর, সীমান্ত, বরেন্দ্র, দোলনচাঁপা, উত্তরবঙ্গ মেইল, উত্তরা এক্সপ্রেস, রকেট মেইল, কাঞ্চন এক্সপ্রেস, রমনা মেইল, বুড়িমারী এক্সপ্রেসসহ আপ-ডাউন মিলে বর্তমানে ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া রয়েছে মালবাহী, তেলবাহী ও রিলিফ ট্রেন। ওই সব ট্রেন চালাতে সংশ্লিষ্ট লোকোশেড চালকসহ ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়।

ট্রেন চালক সানোয়ার হোসেন জানান, বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকালে ধিরে ধিরে চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে ট্রেন পরিচালনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে পার্বতীপুর লোকো শেডের ইনচার্জ আবদুল মতিন সাংবাদিকদের জানান, তার শেডে ৩৬ জন চালকের জায়গায় কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। অথচ সবক’টি ট্রেন চালাতে প্রতিদিন লাগে ২২ জন চালক। ৮ জন চুক্তিভিত্তিক চালক থাকলেও আগামী ১৬ জুন তাদেরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অবসরে যাবেন তার শেডের আরও চালক দু’জন। ফলে ছুটি পর্যন্ত পাচ্ছেন না চালকরা। ছুটি দিলেই ট্রেন বন্ধ রেখে দিতে হবে। একেকজন চালক প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করছেন। এরই মধ্যে দুটি ডেমু ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালক সংকটে আরও কিছু ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More