রাজশাহী: তাবলীগ জামায়াতের আমির মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মাণের নামে দেশ-বিদেশ থেকে টাকা তুলে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাবলীগ জামায়াতের শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরি ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর উপশহর এলাকায় অবস্থিত মার্কাজ মসজিদে ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘মুরুব্বিদের জীবন থেকে’ নামক বই বিতরণ করতে গেলে ওই মসজিদে অবস্থানরত তাবলীগকর্মীরা রাবির কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে মারধর করে।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও আরবি বিভাগের শিক্ষক আল আমীনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়াসিকুল ইসলাম তাবলীগের শুরা সদস্য ও আমির পরিচয় বহাল রেখেই চাঁদাবাজি ও রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কারণে বিপুল সংখ্যক তাবলীগ কর্মীদের সমর্থন পাচ্ছেন এবং সম্পূর্ণ তাবলীগ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে যারা বাধা দিচ্ছেন তাদের তাবলীগ বহির্ভূত বলছেন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে সম্পূর্ণ তাবলীগ কর্মসূচিই লক্ষ্যহারা হয়ে একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
‘মুরুব্বিদের জীবন থেকে’ বইয়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসিফুল ইসলাম ও কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা যোবায়ের তাদের অসাধু পরিকল্পনা কার্যকরী করার জন্য দেশব্যাপী নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রুপ ও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন।
ওই বইয়ে আরো বলা হয়, ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল দেশ-বিদেশ থেকে তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মাণের নামে প্রচুর টাকা তুলেছেন এবং তার সিংহভাগ প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিদেশ থেকে নিজে টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং তাকে সহায়তা করেছেন তার ছেলে ওসামা ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে গত ১৫ মে রাতে রাজশাহী মার্কাজ মসজিদে রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এম মুশফিকুর রহমান, আরবি বিভাগের জিয়াঊর রহমান খান, ফার্মেসি বিভাগের আলম খান, মুস্তাফিজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী রেজিস্টার হারুন অর রশিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।