পাথরঘাটা পৌর সভার ৯টি ভোটকেন্দ্রই বুকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৬টি অধিক ঝুকিপূর্ণ বলে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে । পেশী শক্তিই শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের প্রধান বাধা বলে দাবি শান্তিপ্রিয় ভোটারদের।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা পৌরসভার ৯টি ভোটকেন্দ্রই ঝুকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৬টি অধিক ঝুকিপূর্ণ। অধিক ঝুকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো হচ্ছে- পাথরঘাটা কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সূবর্ণা বড়ইতলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজি জালালউদ্দিন মহিলা কলেজ ও বড়পাথরঘাটা সরকারি প্রাশমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন পাথরঘাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. রোকনুজ্জামান রুকু তাঁর আশঙ্কার কথা জানান। রোকনুজ্জামান রুকু জানান, প্রতিপক্ষের শক্তিপ্রয়োগের ভয় পাচ্ছেন তিনি।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল করিম জানান, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মীরা প্রতিনিয়ত বাধা দিচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করবে বলে মহল্লায় নৌকামার্কার কর্মীরা ভয় দেখাচ্ছে। বিএনপি দলীয় প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী মল্লিক মোহাম্মদ আইউব বলেন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় আমি সকল কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ বলে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ওসি জিএম শাহ নেওয়াজ সকল ভোটকেন্দ্র ঝুকির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
পাথরঘাটা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে এবং ভোট কেন্দ্রের কোন পেশী শক্তির ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।