ঝালকাঠি বাস স্ট্যান্ডে ‘মুহাম্মদপুর (বেতলোচ) রিয়াজিয়া আলিম মাদরাসা’র শিক্ষক ষাটোর্ধ আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে সদর থানায়। গত ২৪ এপ্রিল রাতে উক্ত মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আতাউর রহমান সানিকে (১২) বলাৎকারের অভিযোগে তার মা ডালিয়া বেগম বাদী হয়ে দণ্ড বিধির ৩৭৭ ধারায় মামলা (নং ৩০ তারিখ ২৮/০৪/১৬ইং) দায়ের করেছে।
অন্যদিকে গত ২৪এপ্রিল থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে না পাওয়ায় উক্ত ছাত্রের মা ডালিয়া বেগমকে দিয়ে তার দুলাভাই এছাহাক আলী হাং ও তাদের সহযোগীরা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে এ মামলা করিয়েছে বলে দাবী করেছে শিক্ষকের পরিবার।
মাদরাসা ছাত্র সানির মা ডালিয়া বেগম ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার শাবাঙ্গল গ্রামের মীর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান গত দশ বছর যাবৎ সৌদী আরব প্রবাসী থাকায় তার স্ত্রী-দুই ছেলে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে। বড় ছেলে আতাউর রহমান সানি পার্শ্ববতি বেতলোচ মুহাম্মদপুর রিয়াজিয়া আলিম মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। গত ২৪ এপ্রিল রাতে উক্ত মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল মতিন তাদের ঘরে কেউ নেই তাই তার ঘুমাতে ভয় লাগছে জানিয়ে বাদীনী ডালিয়া বেগমের ছেলে সানিকে তার ঘরে গুমানোর জন্য অনুরোধ করেন।
অনেক অনুরোধের পর তিনি সানিকে যাওয়ার অনুমতি দিলে গভীর রাতে সে জোড়পূর্বক তাকে বলাৎকার করলে সে মারাক্তক আহত হয়। পরদিন সকালে অসুস্থ সানি বাড়িতে ফিরে বাদীনীকে সব খুলে বললে কাউকে কিছু না জানিয়ে ২৫ এপ্রিল সে তার দুলাভাই এছাহাক আলীকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসে ও ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। গত ২৮ এপ্রিল ডালিয়া বেগম তার ভগ্নিপতি এছাহাক আলীকে নিয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মকবুল হোসেনের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি থানার ওসির কাছে পাঠালে এফআইআর লিপিবদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে ২৫এপ্রিল রাতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তামান্না জানায়, তিনি সানির শারীরের কোথাও কোন আঘাত বা জখম না পেলেও রোগীর কথা শুনে ব্যাথ্যার ওষুধ দিয়েছেন।
Prev Post
Next Post