রাজধানীতে জামায়াত নেতাকে না পেয়ে ছেলে-মেয়েকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

0

police[ads1]মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কদমতলীতে স্থানীয় জামায়াত নেতা ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে না পেয়ে তার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ও দশম শ্রেণি পড়‍ুয়া ছেলে মাহফুজুর রহমান মাহিনকে এবং আজ সকালে স্থানীয় সিএনজি ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম ও তার মেয়ে কামিল শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া আক্তার, প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের দুই মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাবিহাকে পুলিশ বাসা থেকে ধরে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি তাদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।[ads2]

বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সাঁড়াশি অভিযানের নামে সারাদেশের মত রাজধানী ঢাকার কদমতলী ও খিলগাঁও থানায় পুলিশ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। রাজধানীর কদমতলী থানার মেরাজনগরে গতকাল রাত ১২ টায় স্থানীয় চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় হানা দেয় পুলিশ। সে সময় পুলিশ তাকে না পেয়ে তার মেয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস ও দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মাহফুজুর রহমান মাহিনকে আটক করে নিয়ে যায়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় সিএনজি ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম ও তার মেয়ে কামিল শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে। সকাল সাড়ে ৮টায় গ্রেফতার করা হয় প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের দুই মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাবিহাকে। খিলগাঁও থানা পুলিশ গতকাল রাতে আহসান হাবিব নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা কোনো অভিযোগ না থাকা সত্তেও সম্পূর্ণ বিনা কারণে পবিত্র রমজান মাসে অভিযানের নামে নিরপরাধ ও নিরীহ রোজাদার নারী ও শিশুদের গ্রেফতার করছে। এটা সম্পূর্ণ অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। যা সরকারের ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও হিংসার মানসিকতার পরিচয় বহন করে।

তিনি বলেন, সরকার তাদের পর্বত প্রমাণ ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জনগণের উপর দলন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। দেশে গুপ্তহত্যার মহোৎসব চললেও সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন প্রধান নির্বাহী হিসেবে সব বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্য আছে। ফলে জনমনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, দেশে সংঘঠিত সকল হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও গুপ্তহত্যাসহ সকল অপরাধের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে।[ads1]

জামায়াত নেতা বলেন, আ’লীগের উপদলীয় কোন্দলে প্রতিনিয়ত বন্দুকযুদ্ধ ও খুনের ঘটনা সংঘটিত হলেও সেসব অস্ত্রধারী খুনী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে সরকার পুলিশ দিয়ে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা নিরীহ সাধারণ রোজাদার মানুষ, নারী ও শিশুদের পর্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পবিত্র মাহে রমজান ইবাদত-বন্দেগীর মাসেও রোজাদার সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুদের পুলিশী হয়রানি, গণগ্রেফতার ও নির্মম নির্যাতন কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রোজার মাসে  গণগ্রেফতার, নির্যাতন, হয়রানি ও ক্রসফায়ারের  হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘর ছাড়া মানুষের পক্ষে রোজা পালন ও ইবাদত বন্দেগী করাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। সরকার মানবাধিকার ও সংবিধান কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সাঁড়াশি অভিযানের নামে নিজেরাই জননিরাপত্তায় বিঘœ সৃষ্টি করছে। সাঁড়াশি অভিযানের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও গণগ্রেফতার বন্ধ এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More