রাজশাহীর বাঘায় কলেজছাত্রকে ধরে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রেমিক ইন্দ্রজিত প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা বেঁধে রাখার পর বিয়ে দেয়া হয়। উপজেলার বলিহার গ্রামের এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নববধূকে নিয়ে বুধবার প্রেমিক নিজের বাড়িতে উঠেছেন। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বলিহার গ্রামের সঞ্জয় সরকারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ইন্দ্রজিত একই গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। চার বছর ধরে তাদের প্রেম চলছে। সম্প্রতি ওই ছাত্রী তাকে বিয়ে করার চাপ দিলে কালক্ষেপণ করে ইন্দ্রজিত। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইন্দ্রজিত তার প্রেমিকার সঙ্গে গোপনে দেখা করতে গেলে ওই পরিবারের লোকজন তাকে ঘরের মধ্যে আটক করে। পরে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে বিয়ের আয়োজন করে। প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তবে এ বিষয়ে ইন্দ্রজিত বলে, ওই বিয়েতে তার মত ছিল না। সন্ধ্যার পর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মেয়ের ভাই তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আটক করেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। তবে মেয়ের বাবা দাবি করেছেন, তিনি তার মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেননি। ইন্দ্রজিত পালানোর চেষ্টা করলে রশি দিয়ে তার হাত-পা বাঁধা হয়। পরে তার বাবা সঞ্জয় সরকারকে খবর দেয়া হয়। উভয়ের সম্মতিক্রমেই ৪ লাখ টাকা পণ দিয়ে ইন্দ্রজিত বিয়ে করে।