স্কুলছাত্র অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

0

muktiponকুমিল্লার চান্দিনায় ৪র্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করেছে মসজিদের ইমাম কাজী ইয়াছিন (২৫)। অপহৃত স্কুলছাত্র এখলাছুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের উজানীজোড়া-কাশারীখোলা গ্রামের সিএনজি চালক ইকবাল হোসেনের ছেলে। অপহরণের পর শিশুটির বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারী। বুধবার সকাল ১১টায় চান্দিনা মোকামবাড়ি শাহী মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে স্কুলছাত্র এখলাছুর রহমানকে অপহরণ করা হয়। বুধবার দিবাগত রাতেই পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর ইউনিয়নের বনকুট গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারী মসজিদ ইমাম ইয়াছিনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করে।
অপহরণকারী ইয়াছিন দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের ডা. হাজী মবিন কাজীর ছেলে। সে মুরাদনগর উপজেলার বাউরা গ্রামের হাজী বাড়ি মসজিদে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ ইমাম এর দায়িত্ব পালন করেন।
অপহৃত স্কুলছাত্র এখলাছুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের উজানীজোড়া-কাশারীখোলা গ্রামের সিএনজিচালক ইকবাল হোসেনের ছেলে। সে মা-বাবার সঙ্গে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকে এবং পূর্ব বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।
স্কুলছাত্র এখলাছুর রহমানের বাবা ইকবাল জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে আমার ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় মোকামবাড়ি এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে। বিকেলে স্কুল ছুটি শেষে ছেলে বাড়ি না ফেরায় আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করি। কোথাও না পেয়ে চান্দিনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।
এদিকে সন্ধ্যায় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে আমাকে ফোন করার পর বিষয়টি আমি পুলিশকে জানাই। রাত সাড়ে ৮টায় আবারো আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মোবাইল ফোনে ম্যাসেস পাঠায় এবং না দিলে ছেলেকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
এদিকে দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর ইউনিয়নের বনকুট গ্রামের ইকবাল হোসেন বাড়িতে ছেলেটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে সন্দেহ ভাজন ভাবে শিশু এখলাছুর রহমান ও অপহরণকারী ইয়াছিনকে আটক করে দেবিদ্বার থানায় খবর দেয়। দেবিদ্বার থানা পুলিশ ওই বাড়ি থেকে শিশুটি উদ্ধার করে চান্দিনা থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমেদ নিজামী জানান, আমাদের থানায় সাধারণ ডায়েরী করার পরপর আমার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। যে নম্বর থেকে ফোন ও ম্যাসেস দেয়া হয়েছিল ওই ফোন নম্বর আমরা ট্রেকিং করি। ততক্ষণে ছেলেটির সন্ধান পাই। রাতেই দেবিদ্বার থানা থেকে আমাদের থানায় আনা হয়েছে। শিশুটিকে হাতি দেখাবে বলে রাস্তা থেকে নিয়ে যায় সে। ধারণা করা হচ্ছে এই ছদ্মবেশি ইমামের আগেও এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে অপহৃত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে চান্দিানা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More