[ads1]অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারায় আইন লঙ্ঘন ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আবদুল হামিদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামীকাল তাকে অপসারণের চিঠি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও স্থায়ী কমিটির প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, এমডি অপসারণের বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেন গভর্নর। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, ঋণ নীতিমালা ও ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়নের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অর্পিত ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকের ঋণ সুবিধা ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন আবদুল হামিদ।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ আবদুল হামিদের দেয়া অবৈধ ঋণ সুবিধার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থায়ী কমিটির শুনানি সম্প্রতি শেষ হয়। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গভর্নর ৪৬ ধারা অনুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে আবদুল হামিদকে অপসারণের সুপারিশ করে।
জানা গেছে, মুন গ্রুপকে বেআইনিভাবে ঋণ দেয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খানকে সব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হামিদ এ নির্দেশ উপেক্ষা করে তাকে একাধিক বিভাগের দায়িত্ব দেন। মোট ১০ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক নীতিমালা অনুযায়ী, ২৫ লাখ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করতে পারেন এমডি। তবে অর্পিত ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণসুবিধা দিয়েছেন বলে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।[ads2]