লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজনে তিন কোটি টাকা দেয়ার কথা বলেছে ইসলামী ব্যাংক। যদিও মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুদান নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দেন।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে যোগযোগ করা হলে ব্যাংকের পিআরডির ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, “আমাদের ব্যাংক ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’র আয়োজনে তিন কোটি দিয়েছে। ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার চেক তুলে দেন। যার ছবি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, আপনারা তা দেখেছেন। তবে মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।”
ইসলামী ব্যাংকের চেকপ্রদানের ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী।
গত কয়েকদিন ধরে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানের জন্য ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে অনুদান নেয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। এছাড়া গণমাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “ইসলামী ব্যাংকের এ টাকা দিয়ে জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠান ঠিক হবে না। তাদের টাকা ফেরত দেয়া উচিত।”
তবে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে টাকার নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “এটা শতভাগ নিশ্চিত যে লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা তহবিলে ইসলামী ব্যাংকের কোনো চেক গ্রহণ করা হয়নি। ইচ্ছা করলে আপনারাও যাচাই করে দেখতে পারেন।”
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে গাওয়া হবে জাতীয় সংগীত। তিন লাখের বেশি মানুষ এতে অংশ নেবেন। সৃষ্টি হবে একসঙ্গে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্বরেকর্ড। এক লাখ ২২ হাজার মানুষের জাতীয় সংগীত গাওয়ার বর্তমান বিশ্বরেকর্ড রয়েছে ভারতের।