সরকারি ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১ থেকে ৯ জুলাই দেশের সব ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নরের নির্দেশে আগামী ২, ৩ ও ৪ জুলাই দেশের বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যাংকগুলোর সব শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
[ads1]বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের পক্ষ থেকে আজ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ৬ জুলাই ঈদুল ফিতর ধরে ৫, ৬ ও ৭ জুলাই ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৩ জুলাই শবেকদরের ছুটি। তার আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় কার্যত ছুটি শুরু হচ্ছে ১ জুলাই থেকেই। আবার ঈদের ছুটি শেষে ৮ ও ৯ জুলাই শুক্র ও শনিবার।
ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে বাধা ছিল কেবল ৪ জুলাই। ২২ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪ জুলাই সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর পরিবর্তে ১৬ জুলাই শনিবার অফিস খোলা থাকবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২২ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করে ৪ জুলাই ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা আগামী ২ ও ৩ জুলাই খোলা রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।[ads1]
এ ঘোষণার পর গতকাল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করে ঈদের আগে তিনদিন (২, ৩ ও ৪ জুলাই) সব ব্যাংক খোলা রাখার অনুরোধ জানায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এফ এম মোকাম্মেল হক বলেন, এফবিসিসিআই নেতারা ঈদের আগের তিনদিন ব্যাংক খোলা রাখার অনুরোধ করেছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর বিশেষ ব্যবস্থায় ওই তিনদিন ব্যাংক খোলা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন সার্কুলার জারি করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের মহাব্যবস্থাপক এস এম রবিউল হাসান বলেন, ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর আমাদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশের মার্কেট ও ব্যবসায়িক এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকগুলোর শাখা খোলা রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে মঙ্গলবার (আজ) সকালে নতুন সার্কুলার জারি করা হবে।[ads2]