চট্টগ্রাম: অর্ধেকেরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উদ্বোধন করা হয়েছে ২২তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৪।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম চেম্বারের আয়োজনে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গৃহয়াণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, এমএ লতিফ এমপি, এফবিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন।
উদ্বোধনের পর নগরীর রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ধূলোময় আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই টিকিটের বিনিময়ে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মেলার প্রবেশ পথ। ফলে টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করে দর্শনার্থীরা একদিকে যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ছেন, অন্যদিকে মেলার সব স্টল তৈরি না হওয়ায় পণ্য দেখার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় অংশ নেয়া ৩৮টি প্যাভিলিয়নের মধ্যে একটিরও কাজ শেষ হয়নি। এছাড়া ২৩৯টি সহ মেলায় অংশগ্রহণকারী ৪০০টি ছোটবড় প্রতিষ্ঠানের স্টলের নির্মাণ কাজও শেষ হয়নি পুরোপুরি। মেলার মূল ফটকে চলছে রঙ দেয়ার কাজ। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রধান গেট দিয়ে ভেতরে আনা হচ্ছে পণ্যবাহী যান। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ছে ধূলোবালি।
কাজ শেষ না হওয়ার পেছনে চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে সময় কম দেয়াকে দায়ী করছেন মেলায় অংশ নেয়া ব্যবসায়ীরা। প্রস্তুতির জন্য মেলার আগে কমপক্ষে ২০ দিন সময় প্রয়োজন হলেও চেম্বারের পক্ষ থেকে সব কিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলায় এবার সময় কম দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
চেম্বারের পক্ষ থেকে সময় না পাওয়া এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর সিডিউলের কারণে অনেকটা আগেই মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
বাণিজ্য মেলায় অংশ নেয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা জানান, সব স্টল ও প্যাভেলিয়নের কাজ সম্পন্ন হতে আরো ৪ থেকে ৫ দিন লেগে যাবে। এর মধ্যেই মেলা উদ্বোধন হয়ে যাওয়ায় রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে। এতে স্টলের সাজসজ্জা বা সৌন্দর্য বর্ধণেও ব্যাঘাত ঘটছে।
এদিকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে উদ্বোধনীর দিন মেলায় এসে অনেককেই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এ নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
এ ব্যাপারে সিটিএফআইয়ের কো চেয়ারম্যান সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন, ‘ঠিক সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সিডিউল না পাওয়ায় তড়িগড়ি করে মেলার উদ্বোধন করতে হচ্ছে। তবে দুএকদিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
চেম্বার সূত্র জানায়, ৪ লাখ বর্গফুট পরিসরের ১২টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন, ২টি মিনি মেগা প্যাভিলিয়ন, ৮টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১৬টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন, ১২৭টি প্রিমিয়ার মেগা বুথ, ৫০টি মেগা বুথ, ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড বুথ, ৩৮টি প্রিমিয়ার বুথ, ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড বুথ ও ৩টি রেস্টুরেন্টসহ মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন ও ২৩৯ টি স্টল নিয়ে ৪০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছে। আর মেলার কান্ট্রি পার্টনার থাকছে থাইল্যান্ড।
এছাড়া ভারত, চীন, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ইরান ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বহুজাতিক কোম্পানি ও স্বনামধন্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় অংশগ্রহণ করছে।