ঢাকা: ফার্নিচার ও হস্তশিল্পকে এগিয়ে নিতে নগদ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একই সঙ্গে বাজার ও পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ ফার্নিচার ও ইন্টেরিয়র ডেকর এক্সপো-২০১৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগির মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশের বৈশিষ্টগুলো আমরা শিগগির অতিক্রম করে যাচ্ছি। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তাই পোশাক খাত রপ্তানিতে এগিয়ে থাকলেও এখন রপ্তানি বহুমুখীকরণ করার সময় এসেছে। এজন্য ষষ্ঠ পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনায় বাজার ও পণ্যের বহুমুখীকরণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, কম্প্লায়েন্স ইস্যুতে বিল্ডিং ও ফায়ার সেফটি নিয়ে যে ঝড় ওঠেছিল তা আমরা মোকাবেলা করতে পেরেছি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে। এ সময় দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয় এমন কর্মসূচি না দিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পণ্যের উৎপাদন, নতুন বাজার সৃষ্টি, পণ্যের মাননির্ধারণ ও রিজোন্যাল ভ্যালু চেঞ্জ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর এরই প্রেক্ষিতে ফার্নিচার ও হস্তশিল্প তৈরি মালিক কাজ করছে বলে জানান তিনি। তাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের মান উন্নয়নে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ, এফবিসিসিইএর সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাংলাক্রাফটের সভাপতি সেলিম উদ্দিন হায়দার, বিজেডিপিএমইএ’র সাধারণ-সম্পাদক রাশেদুল করিম মুন্না, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার মোকলেসুর রহমানসহ অন্যরা।
দেশের হস্তশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যথাপোযুক্ত নীতি সহায়তার কথা বলেন বাংলাক্রাফটের সভাপতি বলেন। এই খাত প্রোপার নার্সিং ও লজেস্টিক সাপোর্ট পেলে রপ্তানি আরও বাড়ানো যেত বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাক্রাফট রপ্তানিতে প্রায় ৫০ লাখ লোক জড়িত। তাই সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে ডিজাইন অ্যান্ড প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট করার জন্য মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।