বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের করের আওতায় আনার জন্য বিনিয়োগ বোর্ড এবং বেপজাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক বিদেশী নাগরিক কাজ করলেও তারা যথাযথ কর দিচ্ছেন না – এমন ধারণা থেকেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন “বিদেশীদের বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ আছে, কিন্তু তারা যদি করযোগ্য আয় করেও কর পরিশোধ না করেন – তাহলে আয়কর আইন অনুযায়ী সেটা একটা অপরাধ।”
বাংলাদেশে ঠিক কত বিদেশী নাগরিক কাজ করেন তার কোন সঠিক সংখ্যা নেই।
তবে তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প এবং অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীর সংখ্যা চার লাখের মতো হতে পারে বলে বিনিয়োগ বোর্ড সূত্রে ধারণা পাওয়া গেছে। এদের অনেকেই যথাযথ আয়কর দেন না বলে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এনবিআরের কাজই হলো বাংলাদেশে যারা করযোগ্য আয় করছেন, তাদের করের আওতায় নিয়ে আসা। বাংলাদেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশে অনেক প্রতিষ্ঠানেই বিদেশীরা কাজ করছেন, এবং সে সুযোগও আছে।
“তারা আয় করছেন, কিন্তু আয়কর পরিশোধ করছেন না” – বলেন মি. রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিনিয়োগ বোর্ড এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে যে অনেক বিদেশী নাগরিক পর্যটক ভিসা নিয়ে এসে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
ঠিক কি পরিমাণ আয়কর এভাবে ফাঁকি দেয়া হচ্ছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সংখ্যা অনেক বড় হবে, তবে তিনি অনুমাননির্ভর কোন কথা বলতে চান না।
তিনি বলেন, গত বাজেটের সময় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে যেসব প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে লোক নিয়োগ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে কর সুবিধা প্রত্যাহার, বা জেল-জরিমানার মতো ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
বিনিয়োগ বোর্ড এবং বেপজা (বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি)-কে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সূত্র : বিবিসি