চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সদস্য এমন প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয় সিএসইর লেনদেন। একই সঙ্গে ডিএসইর শাখা আছে কিন্তু সিএইর শাখা নেই ওই জায়গায়। ফলে বাড়ছে না সিএসইর লেনদেন।[ads1]
সিএসই সূত্রে জানা গেছে, সিএসইর মোট ট্রেকহোল্ডার ১৪৮টি। এর মধ্যে ডিএসই ও সিএসই উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য এমন ট্রেকহোল্ডার ৪৬টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ডিএসইতে সক্রিয় হলেও নিষ্ক্রিয় সিএসইর লেনদেন।
এক সময় ডিএসইতে যে পরিমাণ লেনদেন হতো, তার তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ হতো সিএসইতে। কিন্তু এখন সেই লেনদেন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কোনো সময় এটি ৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্তও হয়।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাইফুর রহমান মজুমদার এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। কেন প্রতিষ্ঠানগুলো সিএসইর লেনদেনে সক্রিয় না? কারণ খোঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে রেগুলেটরি জটিলতা, প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় কমানো, সর্ট সেলের ভয়, বাজারের গভীরতা না থাকা,ট্রেডারদের প্রশিক্ষণের সমস্যা।[ads2]
এ বিষয়ে সাইফুর রহমান মজুমদার অর্থসূচককে বলেন, কোনো কোনো ট্রেকহোল্ডার সিএসইর লেনদেন মনোযোগ দিয়ে করছে। আবার কেউ তা করছে না। সিএসইর লেনদেটিকে বাড়তি চাপ মনে করছেন তারা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সিএসইর জন্য আলাদা মনিটর, বাড়তি লোক দিতে হয়। ফলে তাদের ব্যয় বেড়ে যায়। এই ব্যয় কমানোর জন্য তারা সিএসইতে লেনদেন করে না।
তিনি বলেন, সিএসই ছোট বাজার হওয়ার ফলে বিনিয়োগ করে তাদের খচর উঠে না। অন্যদিকে বিএসইসির সার্ভিল্যান্স সফটওয়ার দিয়ে বাজার খুব ভালোভাবে মনিটর করছে। অনেক বিনিয়োগকারী দুই জায়গায় অর্ডার দেয়, কোনো কোনো সময় দুই জায়গায় সেল হয়ে যায়। দৈত ব্রোকারের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত সর্ট সেল হয়। দুই জায়গায় সেল হয়ে গেলে তখন সিএসইর সেলটাকা সর্ট সেল হিসাবে ধরা হয়। এর জন্য পরবর্তী রেগুলেটরি একশন ট্রেডার পর্যন্ত চলে আসে। এই জায়গা থেকেও থেকেও সিএসইর প্রতি এক ধরনের অনগ্রাহ তৈরি হয় ট্রেডারদের।[ads1]
সাইফুর রহমান বলেন, এই সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা কথা বলেছি। আইটি সংক্রান্ত সমস্যা খুব তারাতারি সমাধান হবে না। তবে ট্রেডারদেরকে আরও প্রশিক্ষণ দিলে সিএসইর লেনদেন বাড়ানো সম্ভব। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।