ঢাকা: রাজনৈতিক টানাপড়েন, বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থাহীনতা, প্রাতিষ্ঠানিক লগ্নিকারীদের অনাগ্রহের পাশাপাশি আর্থিক খাতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মতো ঘটনা আরেক দফা পুঁজিবাজারে কালো মেঘের ছায়া ফেলেছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাদের নানামুখি চেষ্টার মধ্যে আবারও কঠিন সঙ্কটের মুখে লক্ষ মানুষের বিনিয়োগের দেশের পূঁজিবাজারে ।
জানুয়ারিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকেই সার্বিক শেয়ার সূচকের ক্রমাবনতি নতুন করে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বিনিয়োগকারীদের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একটানা দরপতন দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার-দর কমছে প্রতিদিন। ফেসভ্যালুর নিচে নেমেছে শতাধিক কোম্পানির শেয়ার-দর।
বাজার বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, পূঁজিবাজারে নিয়ে কোনো আশা নেই। এই পরিস্থিতিতে চরম হতাশ। পূঁজিবাজারে এখন খাদের মধ্যে পড়ে গেছে আর সেখানেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এই খাদ থেকে কবে বের হতে পারবে তা বলা কঠিন।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসবে, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি। দিক-নির্দেশনার জন্য এসইসির সঙ্গে একাদীক বৈঠক করেছে ডিএসই।
ছোট বড় সব বিনিয়োগকারীকে পূঁজিবাজারে প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।