আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ৩২ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ডিসিপ্লিনারি কমিটির অধীনে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তিনটি কমিটি করা হয়েছে। তবে বহিস্কারের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে অভিভবাবকরা জানিয়েছেন।
হরতালে পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে ৩২ জনকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন শেষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে। তাদের কারণ দর্শানো যুক্তযুক্ত হলে বিষয়টি বিবেচনায় নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী ক্যাম্পাসে হরতাল-অবরোধে ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দাবির মুখে ক্লাস বাতিল করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, পরদিনই বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রায় ৩২ শিক্ষার্থীকে ডেকে সাময়িক বহিষ্কারের নোটিশ ধরিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে জানা গেছে, ২৪ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় ৩২ জনকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। বহিষ্কৃত একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। চিঠিতে সবার বিরুদ্ধেই তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের এআইইউবি থেকে কোনো ধরনের শিক্ষাগত সনদ প্রদান করা হবে না বলেও জানানো হয়।